ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুরিয়া বাজারের বাসিন্দা সুফিয়া সালিম। ওই মহিলার বাড়িতে এসেছিলেন তাঁরই ছোট বেলার বান্ধবী। আসানসোলের বান্ধবী সাবাহাত পারবিন। চলতি মাসে শুরুর সপ্তাহে সুফিয়া দেবীর বাড়িতে ঘুরতে আসেন তিনি। সুফিয়া দেবী তাঁকে বাড়ির উপরের রুমে বসতে দেওয়া দেন। তারপর কথায় কথায় নাকি সুফিয়ার সালিমের সোনাদানা দেখতে চান তার বান্ধবী।
advertisement
আরও পড়ুন, দাম কমল কি সোনা-রূপোর? জেনে নিন আজকের দর কেমন
আরও পড়ুন, আর মাত্র ৪ দিন! কোন কোন স্টেশনে থামবে হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত, জেনে নিন বিশদে
এরপর সোনা গয়না দেখিয়ে সেগুলি পুনরায় আলমারির লকারে সোনা দেন তিনি। আলমারি চাবি যথা স্থানে রেখে চলে যান চা জল আনতে। অভিযোগ ঠিক সেই সময়, সাবাহাত পারবিন আলমারির চাবি খুলে সেই সোনা হাতিয়ে নিয়ে চলে যান। এমনকী আলমারির চাবিও নিয়ে চলে যান। পরের যখন আলমারির চাবি খোঁজাখুঁজি শুরু হয়, তখন চাবি না পেয়ে গিয়ে কোনও রকম অন্য চাবি দিয়ে আলমারি লোকার খোলা হয়। তখন দেখা যায়, কেবল সোনার বাক্স পড়ে আছে। বাক্স থেকে সোনা উধাও।
এরপরে সুফিয়া সালিম যখন আসানসোলে বান্ধবীকে ফোন করেন, তখনই তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরপর জামুড়িয়া থানার দারস্থ হয় পরিবারটি। আসানসোলের বাসিন্দা সাবাহাত পারবিন নামক মহিলার নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরে জামুড়িয়া থানার তরফ থেকে আসানসোলের বাসিন্দা সাবাহাত পারবিনকে আটক করা হয়।
তখন জেরায় তিনি স্বীকার করেন, এই কাজ তিনি করেছেন এবং আসানসোলের হটন রোডের রবিশঙ্কর বর্মন নামক এক সোনার দোকানের সেইসব সোনা বিক্রি করে দিয়েছেন। সেইমতো জামুরিয়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকে আসানসোল সোনার দোকানের মালিক কেউ আটক করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Nayan Ghosh