প্রত্যেক বছর ইংরেজি নববর্ষের দিন থেকে ১০ দিনের জন্য এই মেলার আয়োজন করা হয়। ১ জানুয়ারি শুরু হয় এই মেলা। তবে চলতি বছরে এই মেলাকে কেন্দ্র করে দুর্গাপুরের মানুষজনের মধ্যে উদ্দীপনা যেন একটু বেশি। কারণ, বিগত বছর করোনার জন্য মেলা শুরু হলেও, তা শেষ করা যায়নি। মাঝপথেই প্রশাসনের নির্দেশে মেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন আয়োজকরা। তবে এই বছর যেহেতু এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তাই দশ দিন ধরেই মেলা চলবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। রবিবার মেলার উদ্বোধনের দিনই ব্যাপক জনসমাগম লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মন্ত্রী মলয় ঘটক এই কল্পতরু মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: কুয়াশায় মোড়া সকালে ভাঙছে ঘুম, শীতের আমেজে ডুবে জেলাবাসী
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুরে কল্পতরু মেলার আয়োজন করা হয়। এই বছরের কল্পতরু মেলা উপলক্ষে গত মাসেই গঠন করা হয়েছিল পরিচালন কমিটি। তাছাড়াও, মেলা পরিচালনার জন্য একটি আলাদা সাব কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তারপর বছরের প্রথম দিন জাঁকজমকের সঙ্গে উদ্বোধন করা হয় দুর্গাপুর কল্পতরু মেলার।
দুর্গাপুর স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত গ্যামন ব্রিজ ময়দানে আয়োজিত হয় এই কল্পতরু মেলা। এই মেলার মধ্যেই আলাদা করে থাকে কৃষি মেলা এবং বইমেলা। প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুরের মানুষ কল্পতরু মেলা উপলক্ষে আনন্দে মেতে ওঠেন। স্বাভাবিকভাবেই গত বছর মেলা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়ায় মন খারাপ হয়েছিল শহরবাসীর। তবে এই বছর কল্পতরু মেলা উপলক্ষে মানুষের উৎসাহযে প্রবল তা ভিড় দেখলেই মালুম হচ্ছে।
নয়ন ঘোষ