অভিযোগ, শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, এবারের পঞ্চায়েতে নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থী করা হবে৷ কিন্তু শেষমেষ দেখা যায়, তাঁরা টিকিট পাননি। এমত অবস্থায় তাঁরা দলীয় নির্দেশকে উপেক্ষা করে নিজেরাই মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন নির্দল হিসেবে।
আরও পড়ুন: ‘রক্ত দিতেও প্রস্তুত’, নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে বিরাট হুঙ্কার শুভেন্দুর, মমতা-অভিষেককে নিশানা
উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন জায়গার সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জেও দেখা গেল এমন কিছু নির্দল প্রার্থীকে৷ নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন ছিলেন কালিয়াগঞ্জ ৯ নম্বর বোচাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আশ্বাদ আলি৷ অন্যজন, কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুর এর তৃণমূলের একটি বুথের সভাপতির স্ত্রী গীতা রানি দেব শর্মা ঘোষ।
advertisement
তৃণমূলের উপপ্রধান আশ্বাদ আলির অভিযোগ, তিনি দক্ষতার সাথে উপ-প্রধান এর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলে এসেছেন এতদিন। তেমনই তিনি রয়েছেন তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদেও। তিনি সর্বদা সাধারণ মানুষের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করলেও তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে প্রার্থী করেনি। এমনকি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রিরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি৷ আশ্বাদবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসে এখন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন মানুষের চেয়ে যার টাকা বেশি রয়েছে৷’’
অপরদিকে, কালিয়াগঞ্জের তরঙ্গপুরের তৃণমূলের বুথ কমিটির সভাপতির স্ত্রী গীতা রানি দেবশর্মা ঘোষ জানান, তিনি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল পার্টি করে আসছেন৷ তার পর এবার তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তাঁকে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে৷ কিন্তু প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি৷ অগত্যা মনের দুঃখে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন গীতাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘দলের কাছ থেকে এই ধরনের আচরণ কখনওই কাঙ্খিত ছিল না।’’
আরও পড়ুন: ৪ লাখ টাকায় ঝাড়ুদারের চাকরি, ৬ লাখেই ইঞ্জিনিয়ার! এবার ‘ফাঁস’ পুর নিয়োগের রেট-চার্ট
অপরদিকে, কালিয়াগঞ্জ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস একটি বৃহৎ দল। এই দলের সকলেরই টিকিট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু সবাইকে তো আর টিকিট দেওয়া যায় না। তাই যাঁরা বাদ পড়েছেন এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের মনে দুঃখ হতেই পারে। আমরা তাঁদের সাথে কথা বলে সমস্ত কিছুই ঠিক করে নেব।’’
পিয়া গুপ্তা