এছাড়াও এই কর্পূর গাছের কাঠ সংগ্রহ করে ছোট ছোট টুকরো করে এই কাঠ দিয়েই তৈরি করা হয় কর্পূর এর তেল । অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, কোরিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় এই কর্পূর গাছ জন্মায়। তবে এই প্রথম উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও এই কর্পূর গাছের চারা এনে এই গাছের চাষ করা হচ্ছে। কুমুদ দেব বাবু কলকাতা থেকে এই গাছ এনে তাদের নার্সারিতে এই কর্পূর গাছ লাগিয়েছেন। জানা যায় এই গাছ যত পুরনো তত বেশি কর্পূর একটি গাছে পাওয়া যাবে। এক একটি গাছে ৪/৫ কেজি কিংবা তার ও বেশি কর্পূর পাওয়া যায়। পুরনো গাছ থেকে মোমের মত এক ধরনের রস বেরোয় তা থেকে এই কর্পূর তৈরি করা হয়। এই কর্পূর গাছের চারা তৈরি ও এই গাছের পরিচর্চার নিয়ম সম্পর্কে সাধনা সরকার জানান কর্পূর গাছের চারা সাধারণত গ্রীষ্মকালে তৈরি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘রিমঝিম গিরে সাওয়ন’! অমিতাভ-মৌসুমীর ছন্দে বৃষ্টিতে প্রেম ছড়ালেন দম্পতি! ভাইরাল ভিডিও
আরও পড়ুন:
চারা একটু বড় হলে ওই চারা জমিতে রোপন করা হয়। চারা লাগানোর আগে জমিতে সঠিকভাবে জৈব সার দিতে হবে। বীজ একটু বড় হলেই চারা তুলে রোপণ করতে হবে। তবে বর্ষার আগে জমিতে এই চারা রোপন করা সব থেকে ভাল। সাধনা সরকার জানান এই কর্পূর গাছ থেকে ফাল্গুন – চৈত্র মাসে ছোট ছোট সবুজাভ ফুল ফোটে। তারপর জাম আকৃতির ফল ও আসে। একটি গাছের ৫ থেকে ৬ বছর বয়সে গাছের পাতা ও ডাল কেটে কর্পূর উৎপাদন বাড়ানো যায়। গাছ বিশেষজ্ঞ কুমুদ দেব জানান যেখানে এই কর্পূর গাছ যেখানে থাকবে সেখানে মশা মাছির উৎপাত হবে না। এছাড়াও এই গাছের পাতা বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।
পিয়া গুপ্তা