গ্রিভ্যান্স সেলের কাজ হল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ শুনে তার সমাধান করা। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও আধিকারিকদের নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার সমাধানে তৈরি এই কমিটিতে আছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকও। এছাড়াও রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কৌশিক চক্রবর্তী, পিনাকি রায়, সুচরিতা ঘোষ ছাড়াও রেজিস্টার দুর্লভ সরকার ও সহকারী রেজিস্টার বিপ্লব চক্রবর্তীকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহের আম বালুরঘাটে পৌঁছতেই হুড়োহুড়ি
গ্রিভ্যান্স সেল গঠন প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দুর্লভ সরকার জানান, ইউজিসি’র নির্দেশে এই প্রথম ছাত্রছাত্রীদের অভাব অভিযোগ শোনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতি শুক্রবার বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটা অবধি এই কমিটি বসবে। সেখানে পড়ুয়াদের সমস্ত অভাব-অভিযোগ শোনার পাশাপাশি সেই সমস্ত সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
উল্লেখ্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ৎসহ দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়াদের অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে বিশেষ সেল গঠনের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। সেখানে বলা হয়েছে, একজন সিনিয়র অধ্যাপক হবেন কমিটির প্রধান। কমিটিতে আরও চারজন শিক্ষক সদস্য থাকবেন। পড়ুয়াদের প্রতিনিধি থাকবেন পাঁচজন। ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে তফসিলি জাতি, উপজাতি, ওবিসি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন করে থাকবেন। ইউজিসি বলেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের সব ধরনের অভিযোগের বিহিত করার দায়িত্ব এই কমিটির। নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে, গ্রিভ্যান্স সেলের বিধানে কোনও পড়ুয়া সন্তুষ্ট না হলে সে উচ্চতর কমিটির কাছে আপিল করতে পারবে। উচ্চতর কমিটি গড়তে বলা হয়েছে প্রতিটি বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, সিনিয়র প্রফেসর অথবা কোনও অবসরপ্রাপ্ত জেলা বিচারককে শীর্ষে রেখে।
পিয়া গুপ্তা