TRENDING:

North Dinajpur News:অস্তিত্ব সংকটে তবুও ডালি কুলো তৈরিকেই পেশা হিসেবে  বেছে নিয়েছেন মুস্তাফা নগর গ্রামের সকলে

Last Updated:

বৈশ্য পাড়ার প্রায় ১০০ টি পরিবারের এই ঐতিহ্যবাহী কুলো তৈরি করেই দিন অতিবাহিত হয়। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উত্তর দিনাজপুর : অস্তিত্ব সংকটে তবুও ডালি কুলো তৈরিকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন মুস্তাফা নগর গ্রামের সকলে। এই গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই তৈরি হয় ডালি ও কুলো। ছোট থেকে বড় সকলেই সকাল হতে না হতে বাঁশ নিয়ে এসে ডালি কুলো তৈরি করতে লেগে পড়েন। সারা বছর খুব একটা বিক্রি না হলেও পুজোর মরশুমগুলিতে ডালি কুলোর চাহিদা দেখা যায়। কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরের বৈশ্য পাড়া। এই পাড়ায় মূলত রাজবংশী সম্প্রদায়ের বাস। তবে আজ থেকে বহু বছর ধরে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ বাঁশের ডালি-কুলো তৈরি করে বেঁচে আছেন।
advertisement

বৈশ্য পাড়ার প্রায় ১০০ টি পরিবারের এই ঐতিহ্যবাহী কুলো তৈরি করেই দিন গুজরান হয়। যদিও এখন ডালি কুলোর আর তেমন বাজার নেই। কিন্তু বাপ ঠাকুরদাদের পেশা ছেড়ে অন্যত্র যেতে মন সায় দেয়নি তাঁদের।উত্তর দিনাজপুরের এই গ্রামে বাড়ির মেয়ে-বউরা সংসারের কাজ করার পাশাপাশি সুযোগ পেলেই বাড়ির উঠোনে বসে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ডালি-কুলো তৈরি করেন। আর পুরুষরা এই বিশেষ ধরনের কুলো বিভিন্ন হাটে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। তা থেকে সামান্য যা আয় হয় তা দিয়েই তাঁদের সংসার চলে।

advertisement

আরও পড়ুন : পুষ্টির ভাণ্ডার…! শীতের এই সবজি চাষ করেই আয় করুন লাখ লাখ টাকা, গুনে শেষ করতে পারবেন না…

তার ওপর এখন চাহিদাও কমে গেছে। ফলে কোনদিন আয় হয়, আবার কোনওদিন ফাঁকা হাতেই হাট থেকে ফিরতে হয়।বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক ডালি-কুলো তৈরির কারিগর বললেন, বাঁশের দাম বেড়ে গেছে। একটা বাঁশ কিনতেই ১০০ টাকা খরচ হয় । একটা বাঁশ থেকে দুটো থেকে তিনটে ডালি তৈরি করা হয়। সেই ডালিগুলো ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করি। তবুও কেউ কিনতে চায় না।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়েন? কমছেই না বাড়তি ওজন? এই সস্তা ঘরোয়া ফল খেলেই হবেন সুপারফিট

এখানকার কারিগরদের আক্ষেপ, তাঁরাও তো এক ধরনের শিল্পী। তাঁরা শত কষ্ট সত্ত্বেও এই পৈতৃকব্যবসা আঁকড়ে ধরে থাকলেও সরকার থেকে কোন‌ও সাহায্য পাওয়া যায় না।ডালি কুলোর মত ঐতিহ্যবাহী জিনিসের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা দুই’ই চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার তাগিদেই বৈশ্য পাড়ার মানুষের হাত ধরে ডালি-কুলো আজও বেঁচে আছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

পিয়া গুপ্তা

বাংলা খবর/ খবর/উত্তর দিনাজপুর/
North Dinajpur News:অস্তিত্ব সংকটে তবুও ডালি কুলো তৈরিকেই পেশা হিসেবে  বেছে নিয়েছেন মুস্তাফা নগর গ্রামের সকলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল