কয়েক হাজার বছর আগে এখানে এই পাতালঘোড়া জলাশয় থেকে ঐতিহাসিক খনন কার্যের সময় একটি বিষ্ণুর মূর্তি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গ্রামবাসীরা সেই বিষ্ণু মূর্তিটি প্রতিষ্ঠিত করে পূজা অর্চনা শুরু করেন। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের পূর্ণিমাতে এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে পূজো ও মেলার আয়োজন হয়।
আরও দেখুন
advertisement
কথিত রয়েছে বখতিয়ার খলজির বঙ্গবিজয়ের আক্রমনের ভয়ে গ্রামবাসীরা গ্রামে অবস্থিত কিছু মূর্তিকে পার্শ্ববর্তী পাতালঘোড়া জলাশয়ে ডুবিয়ে দিয়েছিল। তারপর সেই মূর্তিগুলি ১৯৮১ সালে চৈত্র পূর্ণিমার দিন পাতালঘোড়া জলাশয় সংস্কার করতে গিয়ে মূর্তিগুলি উদ্ধার হয়। তবে থেকেই সে মূর্তিগুলিকে গ্রামবাসীরা একটা মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করে পুজো অর্চনা করেন।
আরও দেখুন
মন্দিরে বর্তমানে ৩ ফুট ২ ইঞ্চির একটি বিষ্ণুমূর্তি, এবং সাড়ে ছয় ফুটের বিষ্ণুর দশাবতার মূর্তি রাখা আছে। দুটি মূর্তি যদিও এর আগে এই মন্দির থেকে চুরিও হয়ে গেছে। তবেবর্তমানে মন্দিরটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছে গ্রামবাসীরা।যাতে করে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে একটা জায়গা করে নিতে পারে এই টেনহরি গ্রাম। এর ফলে একদিকে যেমন টেনহরি গ্রামে আর্থসামাজিক পরিবর্তন ঘটতে পারে তেমনি উত্তর দিনাজপুর জেলার পর্যটন মানচিত্রে টেনহরি গ্রাম নিজের ইতিহাসকে যুগের পর যুগ ধরে রাখতে পারবে।
বৈশাখ মাসের পূর্ণিমাতে এই টেনহরি মন্দিরকে কেন্দ্র করে পূজো মেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জানা যায় বিষ্ণু মন্দিরটি যে পাতাল ঘোড়া জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়েছিল। পাতাল ঘোড়া জলাশয় একবার নাকি এক পথিক তার ঘোড়াকে জল খাওয়ানোর জন্য জলাশয় নামলে ঘোড়াসহ অতল জলে ডুবে যায়। সেই থেকেই এই জায়গার নামকরণ পাতালঘোড়া হয়েছে বলে লোকো মুখে প্রচলিত।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রামে জলাশয় থেকে পাওয়া বিষ্ণু মন্দির কে কেন্দ্র করে জেলায় একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবী জানিয়েছে এলাকার বাসিন্দারা।টেনহরি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি পর্যটনের সঙ্গে ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে অতিসত্বর এই মন্দির সংস্কারের প্রয়োজন ।
Piya Gupta





