তারই অঙ্গ হিসাবে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের হরিহরপাড়ার সাধন বর্মন। ২০১৪ সাল থেকে সাধন মুখোশ তৈরি করার কাজকেই বেছে নিয়েছেন তাঁর রুটি রুজির হাতিয়ার হিসেবে। অভাবের তাড়নায় বেশি দূর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারেননি সাধন।মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেই তিনি বিভিন্ন ধরনের মুখোশ তৈরির কাজ করতে থাকেন। সাধনের রং বেরংয়ের বিভিন্ন ধরনের কাঠের মুখোশ সকলকে তাক লাগিয়ে দেয় ।
advertisement
শিমুল, শিশু ,আম, জাম বিভিন্ন ধরনের কাঠ চেরাই করে সেই কাঠ দিয়েই দুর্গা ,কালী, রাক্ষস, হনুমান, বাঘ কিংবা বুড়ো বুড়ি বিভিন্ন ধরনের রংবেরঙের মুখোশ বানান উত্তর দিনাজপুর জেলার কাজিয়াগঞ্জের নসিরহাটের বাসিন্দা সাধন বর্মন। সাধন বিভিন্ন ধরনের কাঠ কিনে এনে সেগুলো দিয়ে প্রথমে নকশা তৈরি করে। এর পর সেই কাঠের মুখোশ গুলোকে তারপিন তেলের সঙ্গে রং করে বিভিন্ন ধরনের রং বেরংয়ের মুখোশ তৈরি করেন সাধন। সাধনের হাতের তৈরি এই মুখোশগুলোই জেলা ছড়িয়ে অন্য জেলাতেও পাড়ি দিচ্ছে। কেউ বা নিজের ঘর সাজানোর জন্য, কেউ আবার মুখো নৃত্য পরিবেশনের জন্য এই কাঠের মুখোশগুলি কিনে নিয়ে যায়।
সাধন বর্মন জানান তাঁর তৈরি মুখোশগুলো অনেকে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া নিয়ে যান। অভাবের সংসারে এক সময় বিভিন্ন ধরনের প্যান্ডেলের কাজ করতে তাঁকে বাইরে যেতে হত। সেখানে এক সময় মালদার বটুকভৈরব চৌধুরীর কাছে থেকে সে মুখোশ তৈরির কাজ শেখেন। তার পর বাড়িতে ধীরে ধীরে নিজের চেষ্টায় মুখোশ তৈরি করেন। বিভিন্ন ধরনের কাঠ ও নিখুঁত হাতের কাজের উপর নির্ভর করে সেই মুখোশগুলোর দাম। সাধন বর্মন জানান যদিও কোনও সরকারি সহযোগিতা তিনি পান না,তবুও এই মুখোশ তৈরি করে তার ভাল ভাবেই সংসার চলে যায়।