রাজনীতির রং যাই হোক না কেন উৎসব তো সকলের। তাই উৎসবের দিনে রাজনৈতিক ভেদাভেদ চলে যায় অনেক দূরে। বসন্তের রঙে সব মিলেমিশে যেন একাকার হয়ে গেল। সৌজন্যতার সেই ছবি ধরা পরল রায়গঞ্জের করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। শান্তিনিকেতনের আদলে অনুষ্ঠিত হয় রং উৎসব আর সেই উৎসব মঞ্চে পাশাপাশি দেখা গেল রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বাম কংগ্রেস জোট আলি ইমরান রমজকে।
advertisement
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ভোটের মরসুমে রং-এর উৎসবের সৌজন্যে ফিরল ‘সৌজন্যে’র বাতাবরণ। রাজনৈতিকভাবে তারা পৃথক প্রার্থী হলেও বসন্তের আবহে সৌজন্যতার ত্রুটি থাকল না এদিন। দুই প্রার্থী একে অপরকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দিলেন। কৃষ্ণ হাতে তুলে দিল হলুদ আবির আর সেই রঙে রাঙালেন ভিক্টরকে অর্থাৎ আলি ইমরান রমজকে। ব্যতিক্রম হল না ভিক্টরের ক্ষেত্রেও। একে অপরকে লাগালেন হলুদ আবিরে।
পাশের চেয়ারে বসে তখন দর্শক জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। তিনিও বা বাদ দেন কেন। মোহিত বাবুকেও এদিন পায়ে আবির ছুঁয়ে প্রণাম করলেন তৃণমূল প্রার্থী। তিনিও রাঙালেন কৃষ্ণ কল্যাণীকে। ভোট উৎসবে শামিল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। রায়গঞ্জের বসন্ত উৎসবে যোগ দিয়ে সৌজন্যের বার্তা দিলেন তারা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী এ দিন জানান দোল উৎসব গোটা দেশের সারম্বরে পালিত হয়। এটি একটি ঐতিহ্য। এই বিশেষ দিনে রাজনৈতির ঊর্ধ্বে গিয়ে ধর্মীয় ভেদাভেদকে দূরে রেখে সকলকে উৎসবে শামিল হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
পিয়া গুপ্তা