স্থানীয় নবপল্লী এলাকার অরিত্রর প্রতিবেশীরা জানান, অভিজাত পরিবারের ছেলে, সেভাবেই বেড়ে ওঠা। বাবা ধনী ব্যবসায়ী, মা সরকারি চাকরি করতেন। যাদবপুরের ঘটনায় নাম জড়ানোর পর থেকেই অরিত্র ওরফে ‘আলু’-র বাবা-মাকে আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন পাড়া প্রতিবেশীরা।
যাদবপুরের বাংলা প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুতে নাম জড়ালেও, স্থানীয়রা অরিত্রকে কিন্তু ভাল ছেলে বলেই চেনেন। যাদবপুর কাণ্ডে আলুর নাম জড়ানোয় পাড়া-প্রতিবেশীরা রীতিমতো অবাক হয়েছেন।
advertisement
অরিত্রর এক প্রতিবেশী জানান, “ছোটবেলা থেকে ভাল ছেলে হিসেবেই দেখেছি। কার কখন যে কী হয় সেটা বলা মুশকিল। বাড়িতে এলে দেখতাম, ভাল আছে কি না জিজ্ঞেস করতাম। এর বেশি কথা হত না। কখনও কিন্তু কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে ওঁকে দেখিনি। ওঁর নাম জড়ানোয় আমরাও অবাক হয়েছি। ওঁর বাবা-মাকেও দেখা যাচ্ছে না বেশ কয়েকদিন।”
পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনার পর ভাইরাল হওয়া একটি চ্যাটের স্ক্রিনশট থেকে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলুর নাম সামনে আসে। ঘটনার পিছনে তারও হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে যাদবপুর কাণ্ডে যে ঘটনার কথা সামনে এসেছে তাতে প্রতিবেশী যুবকের নাম উঠে আসায় যেমন অবাক প্রতিবেশীরা তেমনভাবেই দোষীদের কঠোর শাস্তিরও দাবি রাখছেন তাঁরা।
যদি প্রতিবেশী যুবক জড়িত থাকে তবে তারও শাস্তির দাবি করেছেন অরিত্র ওরফে আলুর প্রতিবেশীরা। সত্য ঘটনা আসুক প্রকাশে এখন গ্রেফতার হওয়া ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই লক্ষ্যেই পৌঁছতে চাইছে কলকাতার দুঁদে অফিসাররা।
Rudra Narayan Roy