এই গ্রামের মানুষদের জীবন জীবিকার প্রধান মাধ্যম হল তেজপাতা। তেজপাতা শুকিয়ে প্যাকেটজাত করে এই গ্রামের বাসিন্দারা মাথাপিছু প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করেন। গাছ থেকে পাতা কেটে বাছাই করে তা শুকিয়ে প্যাকেট করে পাঠানো হয় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। পাশাপাশি এই তেজপাতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও রফতানি করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: কাউন্সিলরের ‘দাদাগিরি’ ঘুচিয়ে দিল আদালত, রাতারাতি দোকান থেকে উচ্ছেদ
advertisement
বালাস গ্রামের বাসিন্দা মনিকা দেবশর্মা জানান, তাঁরা বহু বছর ধরে এই কাজটি করে আসছেন। ২ টাকা কেজি হিসেবে তাঁরা এই তেজপাতাগুলো বাছাই করেন। সারাদিনে ৬০ থেকে ৭০ কেজি তেজপাতা ঝারাই বাছাই করেন এক একজন। গ্রামের আরেক বাসিন্দা ভুবন দেবশর্মা জানান, বাপ-দাদাদের হাত ধরে তাঁরাও এই পেশায় প্রবেশ করেছেন। এই কাজ বহু বছর ধরে করে আসছেন। তেজপাতা গাছের মালিকদের কাছ থেকে তেজপাতা কিনে সেই গাছ থেকে পাতা কেটে বাছাই করে তা শুকিয়ে প্যাকেট করে সেটা বিভিন্ন জায়গায় পাঠান।
এই তেজপাতা তোলা থেকে শুরু করে প্যাকেট করে রফতানি করার আগে পর্যন্ত সমস্ত কাজ করছেন মহিলাদের পাশাপাশি এলাকার বহু পুরুষও। বর্তমানে এলাকার বহু মানুষের পেটের ভাত যোগাচ্ছে এই পেশা।
পিয়া গুপ্তা