শেষমেশ কোনও উপায় না দেখে ChatGPT-র শরণাপন্ন হন সেই মা। আর তাতেই হয়েছে কামাল। সন্তানের রহস্যজনক রোগটা আদতে কী, তা জানিয়ে দিল এই AI চ্যাটবটই। শুধু তা-ই নয়, কীভাবে এর চিকিৎসা করা সম্ভব, সেই বিষয়েও শিশুটির পরিবারকে দিশা দেখাচ্ছে ChatGPT।
advertisement
প্রায় ৩ বছর ধরে রহস্যজনক রোগে আক্রান্ত শিশুপুত্র অ্যালেক্সের চিকিৎসার কোনও অভাব রাখেননি তার মা কোর্টনি। কিন্তু কোনও ফলাফল পাননি। TODAY.com-এর খবর থেকে জানা গিয়েছে যে, কোভিড ১৯ অতিমারীর কালে পুত্রের মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু উপসর্গ লক্ষ্য করেন কোর্টনি। শিশুটির বারবার দাঁতে ব্যথা হচ্ছিল। সঠিক ভাবে বাড়-বৃদ্ধিও হচ্ছিল না তার। এমনকী ঠিক ভাবে দাঁড়াতে কিংবা বসতে সমস্যা হচ্ছিল।
ট্রেনে উঠতেন, ঘুমিয়ে পড়তেন, যখন নামতেন তখন ‘ধনী’ এই যাত্রী! GRP ধরতেই ফাঁস বিশেষ কৌশল!
একরত্তির বিরল রোগ ধরতে পারেননি ১৭ জন চিকিৎসকও, শেষ চেষ্টা হিসেবে এআই-এর শরণ নিলেন শিশুর মা; যেভাবে কামাল করল ChatGPT… (Representative Image: AI)
যদিও একাধিক স্পেশালিস্ট চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করার পরেও কোর্টনি তাঁর পুত্রের রোগ কিছুতেই ধরতে পারছিলেন না। এরপর তিনি নতুন কিছু চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নেন। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। সঙ্গে সঙ্গে অ্যালেক্সের এমআরআই রিপোর্টের নোট আপলোড করেন এবং তার সমস্ত উপসর্গ একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ChatGPT-র সামনে তুলে ধরেন কোর্টনি। এরপর সংশ্লিষ্ট এআই টুলের থেকে জবাব আসে। বলা হয়, এটির সম্ভাব্য কারণ হল Tethered Cord Syndrome। এটা আসলে এক বিরল স্নায়ুর রোগ। যা শিরদাঁড়াকে আক্রান্ত করে।
টুয়েলভ পাশ মেয়েকে ৪০০০ টাকা দিয়েছিলেন মা, তা দিয়ে এমন কাজ করল সে…এখন রোজগার মাসে ১ লাখ টাকা!
এআই-এর পরামর্শ অনুসরণ করে কোর্টনি এমন একটি ফেসবুক গ্রুপে যোগ দেন, যেখানে এই ধরনের একই উপসর্গে আক্রান্ত শিশুদের মা-বাবারা রয়েছেন। এরপর তিনি একজন নতুন নিউরোসার্জনের দ্বারস্থ হন। সেই সার্জনই এআই-এর ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয়কে নির্ভুল বলে আখ্যা দেন। এরপরেই অ্যালেক্সের একটি স্পাইনাল সার্জারি হয়। বর্তমানে ধীরে ধীরে সেরে উঠছে শিশুটি।
অ্যালেক্স আর কোর্টনির গল্প ভাইরাল হতেই চারিদিকে রীতিমতো হইহই পড়ে যায়। মেডিক্যাল ডায়াগনোসিসে এভাবে সহায়তা করার জন্য এআই-এর ক্ষমতার প্রশংসা করতে থাকেন সকলেই। যদিও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানাচ্ছেন যে, ChatGPT-র মতো টুল কিন্তু চিকিৎসকদের জায়গা নিতে পারবে না। তাঁদের পরামর্শ, এআই সিস্টেম এখনও উন্নত হচ্ছে। তবে ভুলভাল তথ্য দিয়ে অনেক সময় এটি বিপদের মুখেও ফেলতে পারে। যে পরিস্থিতিতে সাধারণত ‘এআই হ্যালুসিনেশন’ বলে অভিহিত করা যায়।