এ বছর 'অস্বাভাবিক' বর্ষা! কেন জানেন? গরমকাল শেষ না হতেই চমক...কবে বর্ষা আসছে বাংলায়? জানিয়ে দিল IMD

Last Updated:
IMD Monsoon Forecast 2025: নির্ধারিত সময়ের আগেই কি এ বার দরজায় কড়া নাড়বে বর্ষা? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, তখন আশার আলো দেখাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
1/12
নির্ধারিত সময়ের আগেই কি এ বার দরজায় কড়া নাড়বে বর্ষা? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, তখন আশার আলো দেখাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। চলতি বছরের দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (মনসুন) নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা আগেই দেশে প্রবেশ করতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। শুধু তাই নয়, স্বাভাবিকের থেকেও বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর।
নির্ধারিত সময়ের আগেই কি এ বার দরজায় কড়া নাড়বে বর্ষা? দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, তখন আশার আলো দেখাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। চলতি বছরের দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (মনসুন) নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা আগেই দেশে প্রবেশ করতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। শুধু তাই নয়, স্বাভাবিকের থেকেও বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর। (Representative Image: AI)
advertisement
2/12
ভারতে এ বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (মনসুন) স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু আগে প্রবেশ করতে পারে এবং জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসব্যাপী বর্ষার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে—এমনটাই জানাচ্ছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD)। এর ফলে দেশের কৃষি, জলসম্পদ এবং সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতে এ বছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (Monsoon) স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু আগে প্রবেশ করতে পারে এবং জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার মাসব্যাপী বর্ষার সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে—এমনটাই জানাচ্ছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD)। এর ফলে দেশের কৃষি, জলসম্পদ এবং সার্বিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। (File Image: News18)
advertisement
3/12
বৃষ্টির পূর্বাভাস কতটা?আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ১৯৭১-২০২০ সালের দীর্ঘমেয়াদি গড় (LPA) ৮৭ সেমি বর্ষণকে ভিত্তি করে এ বছরের বর্ষার বৃষ্টিপাত ১০৫% হতে পারে, যার সম্ভাব্য ত্রুটিমার্জনা ±৫%। অর্থাৎ, দেশের অধিকাংশ এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি হবে।
বৃষ্টির পূর্বাভাস কতটা? আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ১৯৭১-২০২০ সালের দীর্ঘমেয়াদি গড় (LPA) ৮৭ সেমি বর্ষণকে ভিত্তি করে এ বছরের বর্ষার বৃষ্টিপাত ১০৫% হতে পারে, যার সম্ভাব্য ত্রুটিমার্জনা ±৫%। অর্থাৎ, দেশের অধিকাংশ এলাকায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি হবে। (Representative Image: AI)
advertisement
4/12
পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে— - ৩৩% সম্ভাবনা রয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বর্ষণের, - ৩০% সম্ভাবনা স্বাভাবিক বর্ষণের, - ২৬% সম্ভাবনা অতিবর্ষণের। অন্যদিকে, মাত্র ২% সম্ভাবনা রয়েছে দুর্বল বর্ষণের এবং ৯% সম্ভাবনা স্বাভাবিকের নীচে বর্ষণের।
পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে— - ৩৩% সম্ভাবনা রয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বর্ষণের, - ৩০% সম্ভাবনা স্বাভাবিক বর্ষণের, - ২৬% সম্ভাবনা অতিবর্ষণের। অন্যদিকে, মাত্র ২% সম্ভাবনা রয়েছে দুর্বল বর্ষণের এবং ৯% সম্ভাবনা স্বাভাবিকের নীচে বর্ষণের। (File Image: News18)
advertisement
5/12
IMD-এর মহাপরিচালক ডঃ এম মোহাপাত্র জানিয়েছেন, “যেহেতু দুর্বল ও স্বল্প বর্ষণের সম্মিলিত সম্ভাবনা মাত্র ১১%, তাই প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে এ বছর দুর্বল বর্ষার সম্ভাবনা নেই।”
IMD-এর মহাপরিচালক ডঃ এম মোহাপাত্র জানিয়েছেন, “যেহেতু দুর্বল ও স্বল্প বর্ষণের সম্মিলিত সম্ভাবনা মাত্র ১১%, তাই প্রায় নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে এ বছর দুর্বল বর্ষার সম্ভাবনা নেই।” (File Image: News18)
advertisement
6/12
বৃষ্টিপাত বেশি হবে কোথায়? কোথায় কম?পৃথক কিছু অঞ্চল ছাড়া (লাদাখ, বিহার, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্ব ভারত), দেশের প্রায় সমস্ত এলাকাতেই উপরি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব ডঃ এম রবিশঙ্করন। তামিলনাড়ুতে সাধারণত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর সময়ে বেশি বৃষ্টি হয় না, এবং এ বছরও সেই ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত বেশি হবে কোথায়? কোথায় কম? পৃথক কিছু অঞ্চল ছাড়া (লাদাখ, বিহার, তামিলনাড়ু এবং উত্তর-পূর্ব ভারত), দেশের প্রায় সমস্ত এলাকাতেই উপরি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের সচিব ডঃ এম রবিশঙ্করন। তামিলনাড়ুতে সাধারণত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর সময়ে বেশি বৃষ্টি হয় না, এবং এ বছরও সেই ধারা বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। (Representative Image: AI)
advertisement
7/12
কেন এত ইতিবাচক বর্ষা পূর্বাভাস?এবারের বর্ষার পক্ষে একাধিক জলবায়ু বৈজ্ঞানিক ভাবে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে— - ENSO (El Niño Southern Oscillation) নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে, অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগের জল খুব গরম নয়, খুব ঠান্ডাও নয়—যা বর্ষার পক্ষে ভাল লক্ষণ।
কেন এত ইতিবাচক বর্ষা পূর্বাভাস? এবারের বর্ষার পক্ষে একাধিক জলবায়ু বৈজ্ঞানিক ভাবে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে— - ENSO (El Niño Southern Oscillation) নিরপেক্ষ অবস্থানে রয়েছে, অর্থাৎ প্রশান্ত মহাসাগরের উপরিভাগের জল খুব গরম নয়, খুব ঠান্ডাও নয়—যা বর্ষার পক্ষে ভাল লক্ষণ। (Representative Image: AI)
advertisement
8/12
Indian Ocean Dipole (IOD)-ও নিরপেক্ষ থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা ভারত মহাসাগরের পশ্চিম ও পূর্ব ভাগের তাপমাত্রার পার্থক্যকে বোঝায়—এটি বর্ষার স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে।- ইউরেশিয়া ও উত্তর গোলার্ধে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তুষারপাত কম ছিল, যা বর্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে।
Indian Ocean Dipole (IOD)-ও নিরপেক্ষ থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা ভারত মহাসাগরের পশ্চিম ও পূর্ব ভাগের তাপমাত্রার পার্থক্যকে বোঝায়—এটি বর্ষার স্বাভাবিক প্রবাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে। - ইউরেশিয়া ও উত্তর গোলার্ধে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত তুষারপাত কম ছিল, যা বর্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে। (Representative Image: AI)
advertisement
9/12
রাজস্থানে বর্ষা ও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি: আগের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলপূর্বের রিপোর্টে রাজস্থানে তীব্র গরম এবং ধারাবাহিক হিটওয়েভ সতর্কতা‌র কথা বলা হয়েছিল। ঝুনঝুনু, বিকানের, জয়সলমীর, জোধপুর, শ্রীগঙ্গানগরের মতো জেলাগুলিতে ১৫-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত হলুদ এবং কমলা সতর্কতা জারি ছিল। এই গরম বর্ষার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে, কারণ গরম যত বেশি হয়, মৌসুমী বায়ুর টান ততই জোরালো হয়।
রাজস্থানে বর্ষা ও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি: আগের পূর্বাভাসের সঙ্গে মিল পূর্বের রিপোর্টে রাজস্থানে তীব্র গরম এবং ধারাবাহিক হিটওয়েভ সতর্কতা‌র কথা বলা হয়েছিল। ঝুনঝুনু, বিকানের, জয়সলমীর, জোধপুর, শ্রীগঙ্গানগরের মতো জেলাগুলিতে ১৫-১৮ এপ্রিল পর্যন্ত হলুদ এবং কমলা সতর্কতা জারি ছিল। এই গরম বর্ষার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করে, কারণ গরম যত বেশি হয়, মৌসুমী বায়ুর টান ততই জোরালো হয়। (Representative Image: AI)
advertisement
10/12
তবে রাজস্থানে স্থানীয় প্রথা অনুযায়ী হোলিকা দহন উপলক্ষে খুঁড়ে বের করা জলপাত্র শুকনো পাওয়া গিয়েছিল, যেটি দুর্বল বর্ষার ইঙ্গিত দেয়। তবে বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাস এই বিশ্বাসকে পুরোপুরি খণ্ডন করছে এবং জানাচ্ছে, রাজস্থানে জুনের শেষ বা জুলাইয়ের শুরুতেই বর্ষা প্রবেশ করবে এবং মোট বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
তবে রাজস্থানে স্থানীয় প্রথা অনুযায়ী হোলিকা দহন উপলক্ষে খুঁড়ে বের করা জলপাত্র শুকনো পাওয়া গিয়েছিল, যেটি দুর্বল বর্ষার ইঙ্গিত দেয়। তবে বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাস এই বিশ্বাসকে পুরোপুরি খণ্ডন করছে এবং জানাচ্ছে, রাজস্থানে জুনের শেষ বা জুলাইয়ের শুরুতেই বর্ষা প্রবেশ করবে এবং মোট বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। (File Image: News18)
advertisement
11/12
ভারত মূলত কৃষিনির্ভর অর্থনীতি। দেশের ৭৫%-এর বেশি বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর সময়ে। ধান, গম, ডালসহ একাধিক ফসল এবং জলাধারের পুনরায় ভরাট হওয়া, খনিজ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর এই বর্ষা নির্ভরশীল। ফলে বর্ষা যদি সত্যিই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তবে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন এবং অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
ভারত মূলত কৃষিনির্ভর অর্থনীতি। দেশের ৭৫%-এর বেশি বার্ষিক বৃষ্টিপাত হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর সময়ে। ধান, গম, ডালসহ একাধিক ফসল এবং জলাধারের পুনরায় ভরাট হওয়া, খনিজ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপর এই বর্ষা নির্ভরশীল। ফলে বর্ষা যদি সত্যিই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়, তবে তা দেশের খাদ্য উৎপাদন এবং অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।  (Representative Image: AI)
advertisement
12/12
সাধারণত কেরলে বর্ষা ঢোকে ১ জুনের আশেপাশে এবং পশ্চিমবঙ্গে আসে জুনের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ। চলতি বছর আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে, বর্ষা ১২-১৫ জুনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবেশ করতে পারে বলে পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে আরও কয়েকদিন আগেই।
সাধারণত কেরলে বর্ষা ঢোকে ১ জুনের আশেপাশে এবং পশ্চিমবঙ্গে আসে জুনের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ। চলতি বছর আবহাওয়া পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে, বর্ষা ১২-১৫ জুনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রবেশ করতে পারে বলে পূর্বাভাস। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকতে পারে আরও কয়েকদিন আগেই। (File Image: News18)
advertisement
advertisement
advertisement