পরিসংখ্যানের আরও একটু গভীরে গেলে দেখা যাবে, পরে ব্যাট করে জেতা ১০টি ম্যাচের মধ্যে আটটি ম্যাচেরই ফয়সালা হয়েছে এক ওভার, বা তার বেশি বাকি থাকতে। নয়টি ম্যাচের ফয়সালা হয়েছে পাঁচ, বা তার বেশি উইকেটে। অর্থাৎ পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, প্রথমে ফিল্ডিং করা দল বিরাট সুবিধে পাচ্ছে শারজা, আবু ধাবি এবং দুবাইয়ের মাঠ থেকে। কিন্তু টস জেতা-হারা কারও হাতে নেই। তার উপর কোহলির টস-ভাগ্য খুব খারাপ। তাহলে রবিবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধেও যদি ভারতকে টসে হেরে পরে বল করতে হয়, তা হলে কী করবেন শামি, বুমরাহরা?
advertisement
এখন জসপ্রীত বুমরাহ, বরুণ চক্রবর্তীরাও ভিজে বলে অনুশীলন করছেন। লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, বালতিতে বল চুবিয়ে অনুশীলন করার সময় বল যেন নরম না হয়ে যায়। বল খুব বেশি ভিজে গেলে তার চামড়া ভারী হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে বলের আচরণও সম্পূর্ণ বদলে যায়। তাই শুধু বলের বাইরের অংশটি ভিজে এবং পিচ্ছিল করে তোলাই লক্ষ্য। আসলে সাদা বলের সেলাই লাল বলের তুলনায় কম সময় শক্ত থাকে। তাই সুইং ফুরিয়ে যায় তাড়াতাড়ি। তার ওপর শিশির থাকলে বোলারদের অবস্থা আরো খারাপ হয়। আঙুল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি অর্থাৎ এনসিএ - তে এই পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যখন টস ভাগ্য নিজেদের হাতে থাকে না, তখন সেটা নিয়ে ভেবে চাপ না বাড়িয়ে যে জিনিসটা নিয়ন্ত্রণে আছে সেটা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া শুধু শিশির নিয়ে মাথা খারাপ করতে নারাজ ভারতীয় বোলাররা।
নিখুঁত লাইন লেন্থ মেনে বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ঝামেলায় ফেলা লক্ষ্য তাদের। উইলিয়ামসন, মিচেল, কোনওয়েদের ভিডিও অ্যানালিসিস দেখেই প্রস্তুত হচ্ছেন ভারতীয় পেস ব্যাটারি।এখন দেখার রবিবার ভারতকে যদি পড়ে বল করতে হয় তাহলে এই টোটকা কতটা কাজে দেয়।