সম্প্রতি IEEE Access জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি গবেষণা। যেখানে বলা হয়েছে যে, একটা মানুষের মনের অনুভূতি কেমন, তার জন্য Skin Conductance ব্যবহার করেছেন গবেষকরা। এটা আসলে একটা মাপকাঠি। কিন্তু কীসের মাপকাঠি। আসলে আমাদের ত্বক কতটা ভাল করে বিদ্যুৎ পরিবহণ করতে পারে, সেটারই পরিমাপ করে এটি। অনেক সময় ঘাম অথবা নার্ভের কাজ অথবা মানুষের আবেগের কারণে ত্বকের বিদ্যুৎ পরিবহণের পরিমাপও বদলে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন- বাসের ভিতর কী নড়াচড়া করছে! সর্বনাশ! ব্যাগ খুলতেই আঁতকে উঠলেন সকলে
বিজ্ঞানীদের মতে, পরম্পরাগত ইমোশন-ডিটেকশন টেকনিক বা কৌশলের ভুলগুলিকে অতিক্রম করতে পেরেছে Skin Conductance পরম্পরাগত ইমোশন-ডিটেকশন টেকনিকের মধ্যে অন্যতম হল ফেসিয়াল রেকগনিশন অথবা স্পিচ অ্যানালিসিস। যা খারাপ অডিও অথবা ভিজ্যুয়াল কন্ডিশনের জন্য ব্যর্থ হয়।
গবেষণা এবং তা থেকে প্রাপ্ত তথ্য:
টোকিও মেট্রোপলিটান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা ৩৩ জন অংশগ্রহণকারীর উপর এই গবেষণা করেছেন। গবেষণার সময় অংশগ্রহণকারীদের আবেগঘন ভিডিও দেখানো হয়েছে। এরপর তাঁদের Skin Conductance মনিটর করা হয়েছে। তা থেকে যা বেরিয়ে এসেছে, সেটাই দেখে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন- পাচারের আগে নদিয়া থেকে উদ্ধার আফ্রিকার বিরল বন বিড়াল
আনন্দ অথবা দুঃখ:
পারিবারিক সম্পর্কের আবেগ সংক্রান্ত বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আনন্দ এবং দুঃখের মিশেল দেখা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ধীর গতির সাড়া মিলেছে। এটি ওভারল্যাপিং বিপরীত অনুভূতির কারণে হতে পারে।
ভয়:
এই সাড়া ছিল দীর্ঘ-স্থায়ী। বিজ্ঞানীদের মতে, এটি ছিল একটি বিবর্তনীয় সারভাইভাল মেকানিজম।
হিউমার:
এই আবেগ সঙ্গে সঙ্গে ট্রিগার হয়েছে। কিন্তু সেটা খুবই স্বল্প সময়ের জন্য। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য সিস্টেম গড়ে তুলতে পারবে। যা সঠিক ভাবে তখনই আবেগ ইভ্যালুয়েট করতে পারবে, যখন সেটিকে অন্যান্য সাইকোলজিক্যাল ডেটার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যদিও এই কৌশল সঠিক নয়। তবে গবেষকরা মনে করছেন, এর মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা লুকিয়ে রয়েছে।
তাঁদের মতে, অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় ফ্যাক্টর যথা – হার্ট রেট এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার সঙ্গে স্কিন কনডাকটেন্সকে মিলিয়ে দিতে হবে। এতে ইমোশন ডিটেকশন অ্যাকিউরেসি আরও উন্নত হবে। এই উল্লেখ্য গবেষণায় ভবিষ্যতে রোবট শুধুই মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা করবে এমন নয়, এর পাশাপাশি সহানুভূতিও জানাতে পারবে।