আদ্যপ্রান্ত মোহনবাগানপ্রেমী দুটি হৃদয়। মাত্র ছয় মাসের পরিচয়, কলেজে অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টে কর্মরত অয়ন মল্লিক। সেই কলেজেরই ছাত্রী রিমি নন্দীকে দেখে প্রথম ভাল লাগা। তবে শর্ত একটাই, জীবনসঙ্গী হিসেবে তাঁকে মনে প্রাণে হতে হবে মোহনবাগান প্রেমী।
তেমনভাবে খেলা না বুঝলেও, অয়নের কথা শুনে মোহনবাগানের ফুটবল খেলা দেখতে গিয়েই, এত মানুষের উন্মাদনা তারই মাঝে কাছের মানুষের এমন পাগলামো মন জিতে নেয় রিমির। ফলে ফুটবলের ময়দানেই জয়ী দলের হয়ে একে অপরকে আলিঙ্গনের মধ্য দিয়েই শুরু তাঁদের ভালবাসার।
advertisement
আরও পড়ুন- কেকেআরের মিস্ট্রি স্পিনার কেড়ে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স! শক্তি কমল নাইটদের?
গত ছ’মাসে রিমিও যেন অয়নের সংস্পর্শে থাকতে থাকতে হয়ে উঠেছে মোহনবাগান ভক্ত। পরিবারও সবুজ মেরুনের সমর্থক। এমন মোহনবাগান প্রেমী জামাইকে মেনে নিতে তাই বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেনি নন্দী পরিবার। এখন তাই চলছে বিয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতি। তবে বিয়ের থিমেও থাকবে মোহনবাগানে ছোঁয়া।
মোহনবাগান দলের সচিব থেকে শুরু করে পছন্দের খেলোয়াড়, এমনকী ভুরিভোজের মেনুতেও থাকবে সবুজ মেরুনের বিশেষ ছোঁয়া। তবে গোটা বিষয়টিকে এখনও সারপ্রাইজের স্তরেই রেখেছেন মোহনবাগানের এই ভক্ত। আর ভালবাসার মানুষের সব ইচ্ছা পূরণেই যেন পাশে রয়েছেন রিমি।
প্রসঙ্গত, অয়নের বিশরপাড়ার বাড়ি আগেই মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে পরিচিত। কারণ, অয়নের প্রথম ভালবাসা মোহনবাগানকে যেন বাড়ির মধ্যে দিয়েই ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। গোটা বাড়ির রং সবুজ মেরুন, সব জায়গাতেই ছোঁয়া মোহনবাগানের।
এলাকায় মোহনবাগান বাড়ি বললে যে কেউ দেখিয়ে দেয় অয়ন মল্লিকের বাড়ি। তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অল্প বয়স থেকেই ভাললাগা ফুটবল আর মোহনবাগান। তার সেই সময় থেকে দেখা স্বপ্নই যেন বাস্তবে রূপ পাচ্ছে নিজের মতো করে। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে মোহনবাগানে খেলা দেখতে যাওয়া থেকে মোহনবাগান দলের জয়, সাফল্য সবটাই সে ধরে রেখেছেন তাঁর এই তিনতলা বাড়িতে।
এবার বেলেঘাটা থেকে বিশরপাড়ায় নিজের বাড়িতে পাকাপাকি ভাবে নিয়ে আসতে চলেছেন মোহনবাগান ভক্ত হয়ে ওঠা রিমিকেও। কোনও প্রাইম লোকেশন বা প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে নয়, প্রি ওয়েডিং শ্যুটের জন্য মোহনবাগান ক্লাব, উত্তেজনার পারদ চড়া মাঠকেই বেছে নিয়েছিলেন এই মোহনবাগানীপ্রেমী যুগল।
আরও পড়ুন- আইপিএলের ‘সেরা’ ক্রিকেটারই এবার আইপিএলে নেই! কেউ কিনল না এমন তারকাকে!
হাতে হাত ফুটবলে পা আর রিমির চোখে চোখ রেখে কখন যে গোলের জালে বল জড়িয়েছে তা যেন টেরই পাননি মোহনবাগান ভক্ত অয়ন। এখন বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সন্ধ্যে নামলেই জ্বলে উঠছে সবুজ মেরুন চোখ ধাঁধানো এলইডি লাইট। শুরু হয়েছে বিয়ের প্যান্ডেল তৈরির কাজও।
বাড়ি জুড়ে তোড়জোড়, নেমন্ত্রিতদের তালিকাও থাকছে চোখ ধাঁধানো। তবে শুধু সবুজ মেরুন মোহনবাগান নয়, নিমন্ত্রিতদের তালিকায় থাকবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরাও নির্দ্বিধায় জানালেন আদতে ফুটবল ভালবাসা অয়ন। তাঁদের এই বিয়ে ঘিরেই এখন মোহনবাগান সমর্থকদের মধ্যে যেন তৈরি হয়েছে আলাদা উন্মাদনা।
Rudra Narayan Roy