মোট ১৯২ কেজি ওজন তুলে যুব ভারোত্তোলনে বিশ্বরেকর্ড করেছেন কোয়েল। সাব জুনিয়র ভারোত্তোলনে ৫৩ কেজি বিভাগে আগের বিশ্বরেকর্ড ছিল ১৮৮ কেজি। কোয়েল সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সাব জুনিয়র ছাড়াও জুনিয়র বিভাগেও সোনা জিতেছে কোয়েল। কোয়েলের বাবা পেশায় মুরগির মাংস বিক্রেতা। তিনিও একসময় নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন। বাবাকে দেখে উৎসাহিত হয়েই ২০১৮ সাল থেকে ভারোত্তোলন শুরু করে কোয়েল। তাদের দোকান রয়েছে ধুলোগড়ে। স্বাভাবিকভাবেই পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা নেই।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে যে কোনও বাবা-মা চাইবেন ছেলেমেয়ে পড়াশোনা শিখে প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু মিঠুন বর আলাদা ভেবেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন, মেয়ে পড়াশোনা করুক ও তার পাশাপাশি খেলাধুলোও চালিয়ে যাক। খেলাধুলোর প্রতি এতটাই ঝোঁক ছিল যে মেয়ে যদি সপ্তাহে রোজ স্কুলে না যেতে পারে তা হলেও চলবে। কিন্তু অনুশীলন অন্তত করুক।
বাবার স্বপ্নপূণের জন্য ভারাত্তোলনে কঠিন অনুশীলন চালিয়ে যান কোয়েল। অনুশীলনের সুবিধার জন্য প্রশিক্ষক অষ্টম দাসের পরামর্শে প্রশিক্ষণ শিবিরের কাছের দেউলপুর স্কুলে ভর্তি হয় কোয়েল। বর্তমানে দেউলপুর হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী তিনি। বিশ্ব জয় করে বাড়িতে গ্রামে ফিরে স্কুল এবং গ্রামের প্রশিক্ষণ শিবিরে যান কোয়েল।
২০১৮ সাল থেকে কোয়েল পাঁচলার দেউলপুরে কোচ অষ্টম দাসের তত্ত্বাবধানে ওয়েটলিফটিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে। প্রথমে জেলা, তারপর রাজ্য এবং জাতীয় স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে একাধিক সোনা জিতেছেন। গত প্রায় দু’বছর পাতিয়ালার জাতীয় ক্যাম্পে রয়েছেন তিনি। কয়েক দিনের ছুটিতে বাড়ি ফেরা।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: এশিয়া কাপের আগেই ‘সাক্ষাৎ’ ভারত-পাকিস্তান ক্রিকটারদের! কী হল তারপর?
কোয়েল ফিরেছে গ্রামে, দারুন খুশি পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন থেকে গ্রামের মানুষ। কোয়েলের মা শ্রাবন্তী বর বলেন,”কোয়েলের বাড়ি ফেরা আমার কাছে দারুণ আনন্দের। সর্বদা প্রার্থনা করি মেয়ের সাফল্য, সেই সঙ্গে অপেক্ষায় থাকি কবে কয়েকদিনের জন্য বাড়ি ফিরবে।” কোয়েল জানায়,”বাড়ি ফেরার অন্যতম আকর্ষণ মায়ের হাতে তৈরি খাবার। মেয়ে বা বাড়ি ফিরতে পছন্দের খাবার রান্নায় ব্যস্ততা মায়ের।”