কিন্তু ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে মুম্বইয়ের ক্রীড়া মানচিত্র। ক্রিকেটের চেনা ছকের বাইরেও অনেক ধরণের খেলার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন এখানকার এবং সারা দেশের মানুষ। তারই হাত ধরে এই বছর মুম্বইতে বসতে চলেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির অধিবেশন।
advertisement
আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত অত্যাধুনিক জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের বৃহত্তম এই সম্মেলন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অলিম্পিক গেমসের এই সম্মেলন আয়োজিত হতে চলেছে ভারতে। এর আগে ১৯৮৩ সালে প্রথমবার এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল নয়াদিল্লিতে।
মুম্বই ভারতের অর্থনৈতিক রাজধানী। এক বিচিত্র শহর যা ভারতের বিবিধের মাঝে মহান মিলনের প্রতিভূ, সেকথা বলাই যায়। কোনও সন্দেহ নেই যে, ক্রীড়া ক্ষেত্রে মুম্বইয়ের প্রধান পরিচয় ক্রিকেটে। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানাধীন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পাঁচবারের বিজয়ী মুম্বই ইন্ডিয়ানসের ঘরের মাঠ। শহরের বিখ্যাত ময়দান – আজাদ ময়দান, ওভাল ময়দান এবং ক্রস ময়দান খেলাধুলোর জগতে সুপরিচিত।
কিন্তু তার বাইরেও রয়েছে একটা বিস্তৃত পরিসর। মুম্বইতে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়। এটি IAAF গোল্ড লেভেল রোড রেস-এর শ্রেণিভুক্ত।
মুম্বইয়ের মহিলা ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে বহুবার নিজেদের কৃতিত্বের প্রদর্শন করেছেন। লীলা রো দয়াল প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রীড়াবিদ যিনি উইম্বলডন টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে একটি ম্যাচ জিতেছিলেন। সেটা ১৯৩৪ সালের কথা। সাঁতারু ডলি নাজির ১৯৫২ সালের গ্রীষ্মকালীন হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে যোগ দিয়েছিলেন।
২০২২ সালে হাংঝাউ এশিয়ান গেমসে, মুম্বইয়ের ছেলে চিরাগ শেঠি ও সাত্ত্বিক সাইরাজ রেড্ডি ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের ডাবলসে সোনা জিতেছেন। এশিয়ান গেমসে পুরুষদের স্কোয়াশে তিনবারের পদকজয়ী, মহেশ মনগাঁওকর হাংঝাউতে স্বর্ণ পদক জয়ী দলের সদস্য ছিলেন। সানীল শেঠি কমনওয়েলথ গেমসে পুরুষদের টেবিল টেনিসে তিনবার পডিয়াম ফিনিশ করেছিলেন। অপর্ণা পোপট কমনওয়েলথ গেমসে মহিলাদের ব্যাডমিন্টনে চারটি পদক জিতেছিলেন।
সদ্য শুরু হয়েছে পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। মুম্বইবাসীর নজর এখন সেদিকেই। সকলেই আশা করছেন ঘরের মাঠে এবার ভারতই চ্যাম্পিয়ন হবে। দলের অধিনায়কও একজন মুম্বইবাসী, মাস্টার ব্যাটার।
এরই মধ্যে শহরে অলিম্পিক কমিটির বৈঠক নিয়ে দারুন উৎসাহী গোটা দেশ।