দেখে মনে হয়নি এই দলটা সেই দল। স্বাভাবিকভাবে গর্বিত অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী ক্যাপ্টেন মনে করেন দিনের শেষে ফাইনালে যোগ্য দলের কাছে হেরেছে তারা। কিন্তু যে লড়াই এবং স্পিরিট দেখিয়েছে গোটা দল তার জন্য কোন প্রশংসা যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে দুই তরুণ ওপেনার শুভমন গিল এবং ভেঙ্কটেশ আইআর যে লড়াই করেছেন, বল হাতে বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল নারিন যে দক্ষতা দেখিয়েছেন, সেটা সমর্থকদের গর্বিত করেছে।
advertisement
কেকেআর অধিনায়ক মনে করেন গোটা দল বিশ্বাস করেছিল চাকা উল্টোদিকে ঘোরানো যেতে পারে। সেটাই হয়েছে দ্বিতীয় পর্বে। এমন দলের অধিনায়ক হিসেবে তিনি গর্বিত। তবে ব্যাট হাতে দলকে মোটেই ভরসা দিতে পারেননি তিনি। সম্পূর্ণ ব্যর্থ। শুধু অধিনায়ক হিসেবে নয়, ব্যাটসম্যান হিসেবেও এই দলে তাঁর অবদান রাখার কথা ছিল, দেখে মনেই হয়নি। এই জায়গাটা নিয়ে ম্যানেজমেন্ট পরে কোন পদক্ষেপ নেয় কিনা সেটাই দেখার।
নকআউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচে জিতেও শেষ ধাপ পেরোতে পারল না কলকাতা। ফাইনালে এসে হারতে হল চেন্নাইয়ের কাছে। কিন্তু ভারতের মাটিতে প্রথম পর্বে খারাপ পারফরম্যান্সের পরেও যে ভাবে আমিরশাহিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গোটা দল, তাতে সতীর্থদের প্রতি গর্বিত অধিনায়ক অইন মর্গ্যান। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণীতে এসে বললেন, “যে লড়াই আমরা করেছি তাতে গোটা দলের প্রতি অত্যন্ত গর্বিত। দলের চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং লড়াকু মানসিকতা ভালই বোঝা গিয়েছে। আমাদের মালিক, শাহরুখ এবং বেঙ্কিও খুব সমর্থন করেছে।”
শুক্রবার দুই ওপেনার লড়াইকে যেমন কুর্নিশ করলেন, তেমনই মর্গ্যানের মুখে আলাদা করে উঠে এল চোট পাওয়া রাহুল ত্রিপাঠির কথা। বলেছেন, “আয়ার এবং গিল অসাধারণ খেলেছে গত কয়েকটা ম্যাচে। বেঙ্কটেশ এই মঞ্চে নতুন। কিন্তু কোনওদিন সেটা বুঝতে দেয়নি। ওরাই ছিল আমাদের ব্যাটিংয়ের মূলস্তম্ভ। ত্রিপাঠি আজ নিজের সেরাটা দিতেই নেমেছিল। ওর চোট পাওয়াটা নেহাতই দুর্ভাগ্যজনক।”
কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম বললেন, “দলের প্রত্যেককে নিয়ে আমি গর্বিত। এ মরসুমের যাত্রাটাই অসাধারণ। কিছু কিছু জিনিস সারাজীবন আমাদের মনে থেকে যাবে। শেষ ধাপে এসে ব্যর্থ হলে অনেক প্রশ্নই উঠে আসে। কিন্তু সে সব আপাতত মাথায় রাখতে চাই না। তরুণ ক্রিকেটাররা যে ভাবে দলকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসনীয়।”