এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা ভালই করে গুজরাত টাইটান্সের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। ওপেনিং জুটিতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ৬৭ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজনে। গিল ৩৯ রানে ফিরতে ক্রিজে আসেন সাই সুদর্শন। ঋদ্ধিমান সাহার অর্ধশতরানের পর গুজরাতের গোটা ইনিংস জুড়ে শুধু সাই সুদর্শন শো। ক্রিজে নামার পর থেকেই একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন তিনি। ঋদ্ধির সঙ্গে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন। ঋদ্ধি ৫৪ রান করে ফিরলেও নিজের রানের গতিবেগ কমাননি সাই সুদর্শন।
advertisement
দলের দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পরও ক্রিজে আসেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তখন অপরদিকে রীতিমত ব্যাটিং তাণ্ডব চালাচ্ছেন সাই সুদর্শন। চার-ছয়ের বন্যা বইয়ে দেন। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন। ডেথ ওভারে ধোনির দুই প্রধান অস্ত্র মাথিসা পাথিরানা ও তুষার দেশপাণ্ডের বোলিংকে তুলোধনা করেন সাই সুদর্শন। ধোনির কোও স্ট্র্যাটেজিই এদিন কাজ করেনি বাঁ হাতি ব্যাটারের সামনে। হার্দিকের সঙ্গেও ঝড়ের গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন।
বিধ্বংসী ব্যাটিং করে শেষ ওভারে কার্যত শতরানের দোড়গোরায় পৌছে গিয়েছিলেন সাই সুদর্শন। কিন্তু শেষ ব্যক্তিগত ৪৭ বলে ৯৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে ৮১ রানের পার্টনারশিপ করেন। যেখানে গুজরাত অধনিয়াকের অবদান মাত্র ২০ রান। সাই সুদর্শনের ৯৬ রানের ইনিংস ৮টি চার ও ৬টি ছয় দিয়ে সাজানো। ২০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন সাই সুদর্শন। আইপিএল ফাইনাল মহাতারকা করে তুলল সাই সুদর্শনকে। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডব ও ঋদ্ধির দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে সিএসকের বিরুদ্ধে ২১৪ রানের বিশাল স্কোর করে গুজরাত টাইটান্স।