ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর এবং দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা আলোচনার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন বলে জানা গিয়েছে। গম্ভীর আগে থেকেই স্পষ্ট করেছেন, “যতদিন না ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ হচ্ছে, ততদিন খেলার মাঠেও কোনো ধরনের সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।” এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিবাদের প্রেক্ষাপট বিবেচনা, অনেক আলোচনা ও গভীর চিন্তার পর গৃহীত হয়।
advertisement
ম্যাচ চলাকালীন এমন পরিস্থিতি এমন ছিল যে, দুই দলের অধিনায়কের মধ্যে স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী টিম লিস্ট বিনিময় না করে, তা সরাসরি ম্যাচ রেফারির হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের দলীয় ম্যানেজার নাভেদ চিমা দাবি করেন, ম্যাচ রেফারিই তাদের খেলোয়াড়কে ভারতীয় খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত মেলাতে নিষেধ করেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এই আচরণকে “অখেলোয়াড়সুলভ” আখ্যা দিয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে সরকারিভাবে অভিযোগ জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ IND vs PAK: কেন হ্যান্ডশেক করেনি? ভারতের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল পাকিস্তান! এবার কী হবে?
বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেন, “এটি একটি রীতি হলেও নিয়ম নয়। তাই কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভারতের দল হাত মেলানোর রীতি থেকে সরে আসে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিপক্ষের সঙ্গে সম্পর্কের ইতিহাস বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া যৌক্তিক।” ফলে বোর্ড কর্তার কথায় পরিষ্কার বিসিসিআই এই সিদ্ধান্তে পুরো দলের পাশে রয়েছে।