এবার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের খেলা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হবে বলে ঠিক হওয়ার পর থেকেই চিন্তা ছিল হেডকে নিয়ে। তিনি কি আবার ভারতের মাথাব্যথার কারণ হবেন, প্রশ্ন ছিল এমনই। তবে এদিন হেড রান পাননি।
আরও পড়ুন- সেমিফাইনালের আগে ভারতীয় ফ্যানেদের মনে ভয় ধরাবে এই তথ্য! এবার কি পাল্টাবে ভাগ্য?
advertisement
একেবারে ম্যাচের প্রথম বলেই হেডের ক্যাচ ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন মহম্মদ শামি। যদিও শামি তা পারেননি। এর পর ৩ ওভারের মাথায় রবীন্দ্র জাদেজার সামনে পড়েও রান-আউট হওয়া থেকে বেঁচে যান হেড। ৪ ওভারের মাথায় ব্যাটের কাণায় লেগে বল স্টাম্পের একচুল দূর দিয়ে বেরিয়ে যায়। আরও একবার জীবনদান পান হেড।
এর পর ম্যাচের নবম ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা বোলারকে আনেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। সেই বরুণ চক্রবর্তী প্রথম বলটা করেন স্টিভ স্মিথকে। দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইকে আসেন হেড। বরুণের মাথার উপর দিয়ে বলটা তুলে দেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা। হেডের ব্যাটের নীচের দিকে অংশে লাগে বলটা। লং অফে দৌড়ে এসে ক্যাচ ধরে নেন শুভমন গিল।
তার পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ভারতীয় ক্রিকেটার ও ফ্যানরা। রোহিত যে বরুণকে হেডের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন, সেই টোটকা দিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, হেডকে আটকাতে পারে বরুণের ভেলকি।
আরও পড়ুন- আইআইটি বাবা আবার! ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে আজ কে জিতবে? ফের ভবিষ্যদ্বাণী
সেমিফাইনালের আগে সৌরভের টোটকা রোহিতের কানে পৌঁছেছিল কি না বলা মুশকিল।তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরে বরুণের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। আর এদিনও ভারতীয় সমর্থকদের নয়নের মণি হয়ে উঠলেন বরুণ। ৩৯ রানেই (৩৩ বলে) হেডকে ফিরিয়ে দেন বরুণ। এদিন ৪৯.৩ ওভার খেলে ২৬৪ রানে অল-আউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।