এটিকে মোহনবাগান -৩
#গোয়া: অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাস প্রচন্ড উন্নাসিক এবং বেপরোয়া। তিনি কাউকে পাত্তা দেন না। নিজে যেটা ভাল মনে করেন সেটাই করেন। এই অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নতুন নয়। দল জিতত বলে সমালোচনা হত না। কিন্তু দল জয় পাচ্ছে না বলে স্প্যানিশ কোচকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৩ মিনিটে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে গোল করে মোহনবাগানকে এগিয়ে দিলেন শুভাশিস। কর্নার থেকে আসা বলে হেড করে।
advertisement
কিন্তু তিন মিনিটের মধ্যে করল এটিকে মোহনবাগান। ক্লেটনকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন লিস্টন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি ব্রাজিলীয়। এরপর এগিয়ে গেল বেঙ্গালুরু। কর্নার থেকে দুরন্ত হেড করলেন দানিশ ফারুক। তবে খেলা থেকে হারিয়ে যায়নি কলকাতার দল। ৩৮ মিনিটে রয় কৃষ্ণর পাস ধরে ২-২ করেন হুগো বুমু। ৫৭ মিনিটে শুভাশিসকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন প্রিন্স ইবারা। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি রয় কৃষ্ণ।
এগিয়ে গিয়েও আবারও গোল খেলা এটিকে মোহনবাগান। ৭২ মিনিটে কর্নার থেকে সেই প্রিন্স হেডে ৩-৩ করলেন। জনি, তিরি দাড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করতে পারলেন না। ৮০ মিনিটে প্রবীর এবং ডেভিড উইলিয়ামসকে নামালেন হাবাস। তাতে অবশ্য লাভের লাভ কিছু হ্ল না। ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল।
টানা চার ম্যাচে জয় অধরা। গত ম্যাচে চেন্নাইয়ান এফসি’র বিরুদ্ধে ড্র। স্বভাবতই বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে বেশ চাপে ছিল এটিকে মোহনবাগান। তবে তাদের প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি একেবারেই ফর্মে ছিল না। গত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছিল তাঁরা। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও নিষ্প্রভ। তা সত্ত্বেও জিন্দালদের দলকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন সবুজ-মেরুন কোচ।
বুধবার তিনি বলেন, ‘৯০ মিনিটের ম্যাচে জয়ই আসল কথা। এক বা একাধিক গোল কোনও ফ্যাক্টর নয়। প্রতিটি বিভাগের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাই প্রধান লক্ষ্য। এটিকে মোহন বাগানে আমাকে এই জন্যই আনা হয়েছে। বেঙ্গালুরু সামগ্রিকভাবে খুবই ভাল দল। তবে খেলাটা মাঠে হবে।’
এই ম্যাচের আগে পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করা মোহন বাগানের গোল সংখ্যা ১০। একইসংখ্যক গোল হজম করেছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এসসি ইস্টবেঙ্গল বাদে সব ম্যাচেই গোল খেতে হয়েছে অমরিন্দর সিংকে। আজকেও সেই ট্রাডিশন বজায় রইল। এই ড্রয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্টস নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রইল এটিকে মোহনবাগান।