একবছর আগে স্বামী জাহাঙ্গীর মণ্ডল মারা যান। ছেলে নয়ন মোল্লা কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন। মেয়ে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। গতকাল সোমবার রাতে বাড়ি ফিরলে দেখা যায় তার মায়ের মৃতদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় লেপ জড়ানো রয়েছে।
মাছ নয় ‘মহৌষধ’! বাজারে থরে থরে সাজানো… খেলেই কমে সুগার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগের ঝুঁকি নেই!
সাপের শত্রু ঘরের এই ৪ জিনিস! দরজায় ছুঁড়ে দিলেই কাছে আসবে না সাপ! বর্ষায় নো টেনশন!
advertisement
মায়ের ঘরে লেপ-তোষকে ঢাকা এটা কী!
স্বামীকে হারানোর বছরপূর্তির মধ্যেই নৃশংস খুন: মনোয়ারার স্বামী জাহাঙ্গীর মণ্ডল এক বছর আগে মারা যান।
ছেলের চোখে প্রথম দৃশ্য: একমাত্র পুত্র নয়ন মোল্লা কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। সোমবার কাজ সেরে বাড়ি ফিরে মা‑কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশে খবর দেন।
দ্রুত পুলিশি অভিযান: বসিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ঘরটি সিল করা হয়েছে, নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক টিম।
তদন্তের মূল প্রশ্ন
সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ?—জমি বা বাড়ির মালিকানা নিয়ে মনোয়ারার সঙ্গে আত্মীয়‑পড়শিদের বিবাদ ছিল কি?
অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুন?—খুনের পদ্ধতি ‘প্যাশন ক্রাইম’ নির্দেশ করছে; সম্পর্কজনিত রেষারেষি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বহিরাগত না কি পরিবারের হাত?—দীর্ঘ ৭২ ঘণ্টা দেহ লুকিয়ে রাখার সক্ষমতা কার? এ নিয়ে ধোঁয়াশা।
পুলিশ নয়ন মোল্লাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে; তাঁর মোবাইলের কল‑লিস্ট ও টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধুবৃত্ত, স্থানীয় বিবাদ এবং সিসি ক্যামেরা ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী দল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শুক্রবার রাত থেকে মনোয়ারাকে কেউ দেখতে পাননি। মনে করা হচ্ছে, সেই সময়েই গলা কেটে খুন করা হয়। সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে কারণ—গাঁয়ে কোনও চিৎকার বা গোলমালের শব্দ শোনা যায়নি।
টনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ; তবে “খুব শিগগিরই” গৃহবধূ‑হত্যার কারণ ও অপরাধীর পরিচয় স্পষ্ট হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বসিরহাট থানার আধিকারিকেরা।