আগের চড়ুইভাতি এখন পিকনিক। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা সুন্দর মনোরম পরিবেশ হোক বা প্রকৃতির কোলে, একটা দিন পিকনিক হলে মন্দ কী! তবে এই সময় বিভিন্ন পিকনিক স্পটে ভিড় থাকার কারণে অনেকে প্রকৃতির মাঝে থাকতে পছন্দ করে থাকেন। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দূরের পথ। কিন্তু গ্রাম বাংলার প্রতিটা জেলায় এখনও রয়েছে মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ। বেশ কিছু জায়গা তা সে অরণ্য হোক বা নদীর পাড়।
advertisement
আরও পড়ুন- ২৫১টি আখড়া নিয়ে শুরু জয়দেব কেন্দুলি মেলা! বাউল-ফকিরের ভিড়ে জমজমাট
নদিয়ার শান্তিপুর দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী, পিকনিকের বহু জায়গা থাকলেও ইদানিং ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে প্রায় ৫০ বছর আগে থেকে গড়ে ওঠা ভাগীরথীর বুকে এক সুবিশাল চর। শান্তিপুরের বড়বাজার ঘাটের ঠিক উল্টোদিকে , ভাগীরথীর মাঝে এই চর বিস্তৃত জলপথে প্রায় পায়রাডাঙ্গার কাছাকাছি।
শুরুর দিকে অর্থাৎ বড়বাজার ঘাটের উল্টোদিকে হুগলি শক্তিপুর ঘাট সংলগ্ন এই চরে যাওয়ার প্রধান রাস্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে দুই জেলার ভাগীরথী তীরবর্তী মানুষজন যাদের ভিটেমাটি ভাঙ্গনের কবলে চলে গেছে তারাই মূলত এই চড়ে চাষাবাদ করে থাকেন।
আরও পড়ুন- সীমান্তের এই সব শিল্পকে বিশেষ স্বীকৃতি, দিন বদলের আশা দেখছে অনেকে
দিনে চারবার মাত্র চলে ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা। মাত্র ১০ টাকা এবং ১০ টাকা ফিরে যাওয়ার ভাড়ায় পৌঁছে যাওয়া এবং তারপর বিনা খরচে সম্পূর্ণ নির্জন এই দ্বীপে সারাদিন চড়ুইভাতি-সহ ঘন জঙ্গল এবং মাঝে মাঝে কৃষকদের চাষের মাঠ দেখে সময় কাটানো। এ এক অন্য অনুভূতি! ফিরে আসার সময় ভাগীরথী বক্ষে সূর্যাস্ত এবং চরের উঁচু নিচু অংশে লাগানো সারিবদ্ধ গাছ, রং-বেরঙের বিভিন্ন আনাজ এবং রবি ফসলের ক্ষেতে মোবাইল বন্দি দৃশ্য। এক নিমেষেই শেষ হয়ে যাবে দিনের পুরো সময়।
Mainak Debnath