বিজ্ঞাপন দেখে সংস্থার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন দিশানি দে এবং তাদের নির্দেশ মতো প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। এরপর ধাপে ধাপে মোট ৩০ হাজার টাকা দেন দিশানির বাবা সুব্রত দে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুত চাকরি মেলেনি।
advertisement
এ বিষয়ে ফের যোগাযোগ করলে সংস্থা আরও টাকা দাবি করে। তাতেই সন্দেহ হয় দিশানি ও তার বাবার। সঙ্গে সঙ্গে তারা বসিরহাট সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সুব্রত দে বলেন, “এইভাবে বহুল প্রচারিত সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখে সাধারণ মানুষ যেন আর বিশ্বাস না করে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আর কেউ প্রতারিত না হয়।” পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ধরনের প্রতারণা ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে , প্রতারক চক্র ভুয়ো সংস্থা ও নকল নথি ব্যবহার করে সহজেই শিকার বানাচ্ছে তরুণ-তরুণীদের। চাকরির বিজ্ঞাপন দেখেই টাকা না দেওয়ার জন্য সবাইকে পরামর্শ দিচ্ছে পুলিশ। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ও অনলাইন বিজ্ঞাপনের সূত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে সাইবার ক্রাইম শাখা।
Julfikar Molla