শুধু তাই নয়, একদিকে হরবোলা তার সঙ্গেই তিনি সংগীতশিল্পী, গীতিকার এবং সুরকারও। সংগীতই যেন তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাস। ছোটবেলা থেকে তিনি কখনও এলাকার মানুষকে নিজের গানে মুগ্ধ করেন, আবার কখনও কণ্ঠস্বর দিয়ে শোনান নানারকম পশুপাখির ডাক ও নানা বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ। ধীরে ধীরে এই বিশেষ প্রতিভা তাঁকে আলাদা করে তুলেছে সবার কাছে। আজ তিনি শুধু অশোকনগরের নয়, হয়ে উঠেছেন জেলার গর্ব। এখানেই শেষ নয়, রিপন চ্যাটার্জির সুরে সংগীত পরিবেশন করেছেন বাংলার প্রথম সারির শিল্পী রূপঙ্কর থেকে শুরু করে জোজো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাংলায় সরকারি চাকরির সুযোগ, একাধিক শূন্যপদে নিয়োগ, উচ্চ মাধ্যমিক পাশ হলে আজই আবেদন করুন
অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীও তাঁরই সুরে গান গেয়েছেন। চলচ্চিত্র জগতেও বেশ ছাপ ফেলেছেন রিপন। বাংলা চলচ্চিত্রের বহু ছবিতে সংগীত পরিচালনা করে বারবার নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন তিনি। এমনকি তাঁর সুরে কণ্ঠ মিলিয়েছেন প্রয়াত নাট্যকার মনোজ মিত্র, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর মত নামী অভিনেতারাও। নানা লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বড় হওয়া এই শিল্পীর। আর মা-ছেলের ছোট্ট এক কামরার সংসারেই প্রতিদিন জন্ম নেয় নতুন সুর। সেই সুর কখনও আবেগে ভরিয়ে দেয় হৃদয়, কখনও শক্তি দেয় বাঁচার। আজ অশোকনগরবাসিরাও তাই গর্বের সঙ্গেই বলেন রিপন আমাদের এলাকার ছেলে।