শীতের সময় মাটিতে আর্দ্রতা বেশি এবং সবজি বাগানে আগাছা কম থাকে। কীটপতঙ্গ এবং রোগের পরিমাণ অন্য সময়ের থেকে কম থাকে। ফলে শীতকালীন সুরক্ষা পদ্ধতিগুলি মেনে চললে ফসল রক্ষা করার করা যেতে পারে সহজে। মূলত শীতকালে মটরশুটি, পালং শাক, সবুজ বাঁধাকপি, ওলকপি ফসল বেশি চোখে পড়ে। তবে কিছু কিছু গাছ আছে, যা সরাসরি জমিতে রোপন করা যায় না। প্রথমে বীজতলায় বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যেমে চারা তৈরি করে নেওয়া হয়। পরবর্তিতে জমিতে রোপন করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : একবার ঢুকলে বেরোতে মন চাইবে না! বর্ধমানে জমজমাট মেগা ফুড ফেস্ট, এত খাবার দেখে পেটুকদের পোয়া বারো
এছাড়াও বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপিসহ আরও অনেক গাছের চারা বীজতলায় তৈরি করা হয়ে থাকে। বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যেমে বীজ থেকে রোপন উপযুক্ত চারা তৈরি করা হয়। বীজতলা তৈরিতে কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বীজতলার জন্য কেমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে, কত বড় জায়গা জুড়ে বীজতলা হবে, মাটি শোধণ কীভাবে করা হবে, বীজতলা কীভাবে প্রস্তুত করা হবে সেই বিষয়গুলির ওপর জোর দিতে হবে। কী কী সার দিতে হবে, বপনের আগে বীজ কীভাবে প্রস্তুত করতে এই বিষয়গুলিও মাথায় রাখা উচিত।
আরও পড়ুন : কার্তিক পুজো তো ছিল, কিন্তু লড়াইয়ের উল্লেখ নেই! কাটোয়ায় এত বড় বদলের ইতিহাস সামনে আনলেন গবেষক
বীজতলার জন্য অবশ্যই অবশ্যই ছায়া মুক্ত উচু যায়গা নির্বাচন করতে হবে। পরিচর্যার সুবিধার্থে আদর্শ বীজতলার মাপ দেওয়া হয়েছে ১ মিটার প্রস্থ ও ৩ মিটার দৈর্ঘ্য। নির্দিষ্ট জায়গা চাষ দিয়ে বা কোদাল দিয়ে বার বার কুপিয়ে মাটি একেবারে গুড়ো করে নিতে হয়। অনেকে বীজতলার মাটি চালুনি দ্বারা চেলে নেন। এটা খুবই উত্তম পদ্ধতি। বীজতলায় রাসায়নিক সার মোটেও দেওয়া যাবে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে জৈব সার ১০×৩ ফুটের বীজতলায় ২-৩ কেজি হারে প্রয়োগ করা উত্তম। এর সঙ্গে ২০-৩০ গ্রাম কার্বোফুরান দিতে হবে। তবে মাটি একেবারে অনুর্বর হলে বীজ বপনের ২-১ সপ্তাহ আগে সামান্য পরিমানে পটাশ ও টিএসপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। বীজতলা তৈরি ও চারার পরিচর্যা সম্পর্কে সঠিক ভাবে জেনে কাজ শুরু করলেই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা যাবে ও লাভবান হবেন কৃষকরা।





