খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছয় বন দফতরের আধিকারিকরা। মৃত বন বিড়ালটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আইনত দন্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় বনবিড়াল মারার অভিযোগে অভিযুক্ত ২২জন আদিবাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন- সাগরে অবাক কাণ্ড! হাত দিয়ে গ্রামবাসীরা তুলে ফেলছে পিচের রাস্তা, চাঞ্চল্য এলাকায়
রবিবার ধৃতদের জঙ্গিপুরের বিশেষ আদালতে তোলা হয়। ধৃতের আত্মীয় বনেশ্বর মুর্মু বলেন, আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি উৎসব বাদনা পূজো। এই পূজোর দিনে আমরা শিকার করি। এটাই আমাদের পরম্পরা। আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই শিকার পুজো করে চলে আসছে। সেই কারণে ওই বন বিড়ালটি শিকার করা হয়। কারোর জানা ছিলনা বন বিড়াল হত্যা আইনত নিষিদ্ধ। জানা থাকলে কেউ মারত না।
advertisement
ধৃতের আত্মীয় হেমব্রম মুর্মু বলেন, বন্যপ্রানী শিকার করা আমাদের বাদনা পূজোর রীতি। এই পূজোর রীতি অনুযায়ী শনিবার করে শিকার করা হয়। বন বিড়ালটি শিকার করা দন্ডনীয় অপরাধ জানা থাকলে কেউ শিকার করত না। আমরা চাই সকলকে মুক্তি দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন- পরপর দু’দিন, সুন্দরবনে ফের এক মৎস্যজীবীকে তুলে নিয়ে গেল বাঘ
বন দফতরের আধিকারিক দেবাশিষ বিশ্বাস বলেন, বীরভূমের জগন্নাথপুর থেকে ২২জন আদিবাসী দল করে শিকার করতে এসেছিল। বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন অনুযায়ী বন বিড়াল হত্যা দন্ডনীয় অপরাধ। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।