মৃত মহিলার নাম চিন্তামণি দাস। তাঁর বয়স ৪২ বছর। কেতুগ্রামের বামুন্দী গ্রামের পশ্চিম প্রান্তের ধান জমি থেকে তাঁর হাত বাঁধা দেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামেরই দাসপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। কৃষকরা মাঠে চাষ করতে গিয়ে জমিতে তাঁকে ওই অবস্থায় দেখতে পান। তার হাত দুটি গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। মুখেও গামছা গোঁজা ছিল। তারা বিষয়টি দেখে অন্যদের ডাকাডাকি করেন। গ্রামের সকলে ছুটে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পণ নিয়ে বিয়ে, বাপেরবাড়ি থেকে টানা আনার চাপ, নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ, চরম পরিণতি
এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতার ঘাড়ের পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে একজোড়া হাওয়াই চটিও মিলেছে।
ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে চিন্তামণির স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে তাঁদের। সংসার চালাতে দিনমজুরের কাজ করতেন ওই মহিলা। রবিবার সকালে অন্য দিনের মতোই কাজে বের হয়েছিলেন। রাতে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তাঁর হদিশ মেলেনি।
আরও পড়ুন: ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ারও ভিডিওগ্রাফি, প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা রাখতে মরিয়া পর্ষদ
মৃতার ছেলে দেবজ্যোতি দাস বলেন, "মাকে খুন করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে গ্রামেরই এক ব্যক্তিকে মা বেশ কিছু টাকা ধার দিয়েছিলেন। সেই টাকা বারে বারে চাইলেও ফেরত মেলেনি। ওই ব্যক্তি এই খুন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।"
মাঠে একা পেয়ে গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয় বলে লিখিত অভিযোগ করেছে মৃতার পরিবার। পুলিশ জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।