জানা যায়, বহু কাল ধরে পৃথিবীর সারা দেশে বসবাস পটচিত্রশিল্পীদের। অবিভক্ত মেদিনীপুরেও বহুকাল আগে থেকেই পটচিত্রশিল্পীরা নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন পটচিত্র অঙ্কনের মধ্য দিয়ে। জানা যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশ, পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোল-এর পাশাপাশি পিংলার নয়া গ্রামে বসবাস একাধিক পট শিল্পীদের। প্রসঙ্গত, টেলিভিশন আবিষ্কার-এর আগে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা পালন করত পট শিল্পীরা। কখনও ডেঙ্গু, কখনও কোনও মহামারী অথবা নানান সামাজিক বিষয় পটে ছবি এঁকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন-ছুরির এলোপাথারি কোপে রক্তাক্ত সইফ আলি খান, কেমন আছেন অভিনেতা? হাসপাতাল থেকে এল বড় খবর!
বিভিন্ন মহামারী সম্পর্কে পটে ছবি এঁকে, গান বেঁধে প্রচার করতেন শিল্পীরা। পাশাপাশি সামান্য আয় রোজগারে চলত তাদের সংসার। তবে দিন বদলেছে, বদলেছে সভ্যতা। পটচিত্র গ্রামে বসছে মেলা, সাপ্তাহিক হাট। বিভিন্ন পড়ার বই এর বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পটচিত্র। প্রসঙ্গত, পিংলার নয়া গ্রাম-এর পটশিল্পীরা পরিচিত চিত্রকর হিসেবে। তবে তারা জাতিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের। তবে তাদের পদবী চিত্রকর কেন? পট শিল্পী বাহাদুর চিত্রকর জানিয়েছেন, তারা জাতির উর্ধ্বে উঠে মানুষ হিসেবে তাদের এই সৃজনশীল শিল্পকলা সকলের সামনে তুলে ধরছেন। তারা যেমন একদিকে মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল কিংবা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সচেতনতামূলক পটের ছবি এঁকে গান রচনা করছেন, তেমনই দুর্গাপুজো বা হিন্দুদের নানান আচার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মুসলিম সম্প্রদায়ের বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-ভোররাতে ভয়ঙ্কর হামলা! ঘরে ঢুকে এলোপাথাড়ি কোপ সইফকে, কোথায় ছিলেন স্ত্রী করিনা? জানলে আঁতকে উঠবেন
স্বাভাবিকভাবে তারা শিল্পী হিসেবেই নিজেদেরকে প্রচার করেছেন, সকলের সামনে নিজেদেরকে গণ্য করেছেন একজন সৃজনশীল কারিগর হিসেবে। তাই তারা জাতির উর্ধ্বে উঠে চিত্রকর হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন। তবে সৃজনশীল, পেশাগত শিল্পী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন পটশিল্পীরা। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত পিংলার নয়াগ্রামের পটুয়ারা।
রঞ্জন চন্দ