মিছিল তখন লালবাজার লাগোয়া পৌঁছেছে৷ গুলি লেগেছিল আরও একজনের বুকে। তিনি এখন কসবার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে কর্মী সমর্থকেদের ভিড়, তারা আসছেন মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে। সেই শিবিরের দায়িত্বে এই সুশান্ত ঘোষ যিনি তৎকালীন কংগ্রেস কর্মী। সকাল থেকে কেমন একটা ঝিমিয়ে আছেন কাউন্সিলর। নিউজ 18 বাংলার সঙ্গে শেয়ার করলেন ১৯৯৩ এর ২১ এর জুলাইয়েট মর্মান্তিক স্মৃতি।
advertisement
আরও পড়ুন: ৬০০০ টাকায় রাশিয়ান, ২০০০-এ ইন্ডিয়ান, হোয়াটসঅ্যাপে আসত ছবি! খোঁজ নিতেই যা পেল পুলিশ…
১৯৯৩ এর স্মৃতি চোখে ভসছে?
উত্তর: যতদিন বাঁচব ওই স্মৃতি চোখের সামনে ভাসবে। ওই আন্দোলন আগে কখনও হয়নি আর হবেও না। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রকৃত সংজ্ঞাটাই সেদিন বুঝিয়ে দিয়েছিল সিপিএম। কাঁদানি গ্যাস থেকে গুলি৷সেদিন অত্যাচারের শেষ সীমায় দাঁড়িছিল সিপিএম।
সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল?
উত্তর: সেদিন টার্গেটই ছিল মমতা বন্দ্যাোপাধ্যায়কে শেষ করা। তবে সেটা সম্ভব হয়নি। যদি পারত তাহলে আরও ৫০ বছর তারা সিকিউর থাকত এটা সিপিএম জানত।
আরও পড়ুন: লন্ডনে একসঙ্গে বিমানে ছিলেন, সেই বিমান সেবিকাকেই জোর করে সঙ্গমের অভিযোগ পাইলটের বিরুদ্ধে
আজ শহীদের নামের তালিকায় আপনিও থাকতে পারতেন, ঘটনা মনে পড়লে ঘুম ভেঙে যায়?
উত্তর: একদিন এই তালিকায় আমিও থাকত পারতাম। তবে আমরা আজ তাদের ভুলিনি। পৃথিবীতে যেকোনও রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে যে কোনও মৃত্যুর ইতিহাস লিখে। সিপিএম ক্ষমতায় এসেছিল খাদ্য আন্দোলনের শহীদ নরুল ইসলামেট মধ্যে দিয়ে। তবে তার পাশে সিপিএম ছিল না। নরুল ইসলামের মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে মমতা বন্দ্যাোপাধ্যায়৷ তবে আমাদের শহীদের দায়িত্ব নিয়েছেন মমতা বন্দ্যােপাধ্যায়। এটাই আমাদের পার্থক্য।
আন্দোলন থেকে পুর্ণজন্ম কী পেলেন দলের থেকে?
উত্তর: তৃনমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, যুব কংগ্রেসের দক্ষিণ কলকাতার প্রেসিডেন্ট, জয়হিন্দ বাহিনী রাজ্য সভাপতি, রাজ্য সেবাদলের চেয়ারম্যান, কলকাতা পুরসভার এম আই সি, এখন আমি কলকাতা পুরসভার ব্যুরো চেয়ারম্যান আছি। সবকিছুই মমতা বন্দ্যােপাধ্যায়ের দেওয়া।