TRENDING:

West Midnapore News: প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে এই পাহাড়ের পুজো, বেলপাহাড়িতে কানাইসোর পাহাড় পুজোয় হাজার হাজার মানুষের সমাগম

Last Updated:

মূলত এখানকার আদি জনজাতি বাসিন্দারা চাষবাসের আগে প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে এই পাহাড়ের পুজো করে থাকেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পশ্চিম মেদিনীপুর:  ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত কানাইসোর পাহাড়। শনিবার কানাইসোর পাহাড় পুজোয় হাজার হাজার মানুষ সামিল হয়েছিলেন। প্রতিবছর আষাঢ় মাসের তৃতীয় শনিবার থেকে শুরু হয় এই পাহাড় পুজো৷ মেতে ওঠেন ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশা ও এ রাজ্যের হাজারো মানুষ। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি সীমান্তবর্তী এলাকায় গাড়রাসিনি, খড়িডুংরি সহ যে সমস্ত পাহাড় পুজো অনুষ্ঠিত হয় তাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পাহাড় পুজো হল এই কানাইসোর পাহাড় পুজো। করোনা পরিস্থিতির জন্য গত দু'বছর এই পাহাড় পুজো বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এখানকার পুজোয় এবারে কাতারে কাতারে লোকজন সামিল হয়েছিল।
advertisement

আরও পড়ুন TMC|BJP : ২১শে জুলাই তৃণমূলের সভার পাল্টা মিছিল ও সভার জোড়া কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই কানাইসোর পাহাড় পুজো অনেক প্রাচীন। মূলত এখানকার আদি জনজাতি বাসিন্দারা চাষবাসের আগে প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে এই পাহাড়ের পুজো করে থাকেন। লোকবিশ্বাস মতে এই পাহাড় পুজো করলে চাষবাস ভাল হবে। অতিবৃষ্টিতে কেউ বানভাসি হবে না। হড়কাবান হবে না। তাই চাষবাস শুরু করার আগে কৃষিজীবী সবাই পাহাড়ে পুজো দেন। স্থানীয় সুত্র মতে, বহু বছর আগে এলাকায় প্রবল বন্যায় ঘরবাড়ি ,গরামথান বা গ্রাম রক্ষার দেবতা সমস্ত কিছু ভেসে গিয়েছিল। পাহাড়ের পার্শ্ববর্তী ঢেঙাম গ্রামের বাসিন্দারা সেই সময় পাশাপাশি অন্যান্য গ্রামবাসীদের সাথে সভা করে তবে গ্রাম রক্ষার দেবতাকে এই পাহাড়ে প্রতিষ্ঠিত করেন। সেই সময় থেকেই এই পাহাড়ে ঢেঙাম গ্রামের মাহালি সম্প্রদায় পুজারী হিসেবে রয়েছেন।

advertisement

শনিবার এই পাহাড় পুজো অনুষ্ঠিত হয় । দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজন ও কুটুম লোকজন ওই এলাকায় শনিবার এসে হাজির হয়েছেন । অন্যান্য গরামথানে পোড়া মাটির হাতি গড়া মূর্তি উপবিষ্ট করে রাখার মত এই পাহাড়েও সেই মূর্তি রেখে পুজো করা হয়। পুজোয় মুরগি বা ছাগ বলি প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থেকে এই পাহাড়ের দূরত্ব প্রায় ৯কিমি। চাকুলিয়া রেলস্টেশন থেকে এই পাহাড়ের দূরত্ব প্রায় ১১ কিমি। বিনপুর ২ ব্লকের সোন্দাপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের সীমান্তবর্তী কেন্দাপাড়া রাঙামাটি, ডুমুরিয়া ও সীতাপুর এই গ্রামগুলির একেবারে পাহাড়ের পাশে অবস্থিত।

advertisement

আরও পড়ুন Kolkata News: বিছানায় পড়ে মহিলার দেহ, দেখেই চমকে উঠল বন্ধু! নরেন্দ্রপুরে আতঙ্ক গুলিবিদ্ধ লাশে

পাহাড় পুজো ঘিরে এখানে বড় আকারের মেলা বসেছে । এই মেলাতে লোক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমস্ত রকমের বাদ্যযন্ত্র ও কৃষি কাজের নানান সামগ্রী পাওয়া যায়। পাহাড় পুজোর পরের দিন রবিবার পাশেই কেবলমাত্র আদিবাসীদের বারাঘাটে পৃথক পাহাড় পুজো ও আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়। এই নিয়ে বিনপুর ২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাহালা হাঁসদা বলেন, "এই কানাইসোর পাহাড় পুজো ঐতিহ্যবাহী।এই পুজোতে বিভিন্ন রাজ্যের কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। আমি একাধিকবার এই পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছি। শনিবারের পরের দিন রবিবার আমাদের বারাঘাটে আদিবাসীদের নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে 'বঙাবুরু' বা পাহাড় পুজো পালন করা হয়। তাই রবিবারের আদিবাসীদের পাহাড় পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার থেকেই দূর দূরান্ত থেকে লোকজন পুজোর জন্য আত্মীয় বাড়িতে এসে থাকছেন।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেশের সংস্কৃতি-পরম্পরার অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন! আইআইটি খড়গপুরে মন ভাল করা দৃশ্য
আরও দেখুন

Raju Singh

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Midnapore News: প্রকৃতিকে সন্তুষ্ট করতে এই পাহাড়ের পুজো, বেলপাহাড়িতে কানাইসোর পাহাড় পুজোয় হাজার হাজার মানুষের সমাগম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল