আরও পড়ুনঃ যোগ্যতা বাছাইয়ে বড় সতর্ক, শুরু KVS–NVS রিক্রুটমেন্ট ২০২৫ রেজিস্ট্রেশন
গ্রামের মাঠেই জন্ম নেয় তার স্বপ্ন ফুটবল শুধু খেলা নয়, একদিন এটাকেই পেশা করবে। তার এই বিশ্বাসই আজ সাফল্যের ভিত। শিখার যাত্রাপথ সহজ ছিল না। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরের বড় বড় ম্যাচে পৌঁছান মাটির রাস্তা, কম সুযোগ, নিয়মিত অনুশীলনের অভাব সব কিছুকে জয় করতে হয়েছিল তাকে। তবুও থামেনি শিখা। নিজের যোগ্যতা আর কঠোর পরিশ্রমের জেরে একের পর এক ম্যাচে নজর কাড়ে তার খেলা। বলের সঙ্গে দৌড়ায় তার সাহস।শিখা নিজেই বলেন “ছোটোবেলা থেকেই খেলছি। ফুটবল আমাকে আলাদা শক্তি দেয়। আজ এত এত জায়গায় গিয়ে খেলতে পারছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ।”
advertisement
এই পথচলায় শক্ত সহায় হয়ে ওঠেন তাপস স্যার, সন্দীপ স্যার ও নারায়ণ স্যার। শিখা সোজাসাপ্টা বলেছে “যারা খেলতে চায়, তারা স্যারদের সঙ্গে কথা বললেই প্র্যাকটিস শুরু করতে পারবে। পড়াশোনা করেও ফুটবল খেলা যায়। এই পথও অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। ”তার কথার মধ্যেই ফুটে ওঠে নিজের জীবনযুদ্ধ আর আশার আলো। আর আজ শালবনির সেই মেয়েটিই ইস্ট বেঙ্গলের জার্সি গায়ে মাঠে নামছেন।একটা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে সরাসরি দেশের অন্যতম বড় ফুটবল ক্লাবে যাওয়া, এ শুধু সাফল্য নয়, এটা একটা বার্তা।শিখা প্রমাণ করে দিয়েছে ফুটবল শুধুই সময় কাটান নয়; এটা পেশা, এটা সম্মান, এটা জীবনের নতুন রাস্তা।তার সাফল্যে আজ গর্বিত মহাসোল, গর্বিত শালবনি, গর্বিত পশ্চিম মেদিনীপুর আর গর্বিত গোটা রাজ্য।
মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণার এক নতুন অধ্যায় আজ শিখা সরেন।গ্রাম থেকে উঠে এসে তিনি ভেঙে দিয়েছেন সংকীর্ণ মানসিকতা, ভেঙে দিয়েছেন সীমাবদ্ধতা। তাই আজ মাঠ কাঁপাচ্ছে তার পায়ের জাদু। শিখার গল্প শিখিয়ে দেয় স্বপ্ন দেখ লড়াই করো আর একদিন তাকেই সত্যি করে দেখাও।





