কাঠ কেটে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়, এটা এক স্বাভাবিক শিল্পরীতি। তবে বাঁশের মূল কিংবা গাছের মূলের এত সুন্দর রূপ আপনি কি আগে দেখেছেন? মাটির নিচে থাকা মূল এক একটি আকৃতির। কখনও সেই আকৃতি প্রকাশ করে এক একটি ছবি। কখনও আবার সামান্য যোগ বিয়োগ করলেই নতুন এক ভাস্কর্য প্রকাশ পায়। আর সেই মূল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের ভাস্কর্য তৈরি করছেন এক বৃদ্ধ। অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষকের ভাবনা, গাছের মূল নিয়ে তার এই সৃজনশীল উদ্যোগ অবাক করেছে সকলকে। শুধু তাই নয়, বাড়িতেই ছোট্ট একটি মিউজিয়াম করে রেখেছেন এই সকল সৃজনশীল কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: মণ্ডপে মণ্ডপে উচ্ছ্বাস, থিমে থিমে চমক! ছবিতে দেখুন শিলিগুড়ির সেরা সব দুর্গাপুজো
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার জাহালদার বাসিন্দা কালাইলাল মহাপাত্র। বাড়ি ব্রাহ্মণখলিসাতে হলেও কর্মসূত্রে তিনি চলে আসেন জাহালদাতে। তবে শিক্ষকতা জীবনেও বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করেছেন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই কখনও কবিতার লাইনের সঙ্গে মিলিয়ে বাঁশ কিংবা বিভিন্ন গাছের মূলকে তৈরি করেছেন একাধিক আকৃতিতে। ছোট মূল থেকে বড় বড় মূল তিনি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। কখনও মেলে কটুক্তি, সেসবকে তোয়াক্কা না করেই তিনি মূল দিয়ে নানা সৃজনশীল প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন। বিভিন্ন পশু পাখির আদল, কোনওটি মানুষের মুখ, কোনওটি আবার মাছ কিংবা শুয়ে থাকা একটি মানুষের রূপ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই তার এই উদ্যোগ এবং এত নিখুঁত শিল্পকর্ম অবাক করেছে সকলকে। প্রতিদিন তার বাড়িতে আসেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে গবেষকেরা। পরখ করে দেখেন তার হাতের এই শিল্পকর্ম। বয়স বাড়লেও শিল্পকর্মের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মন ভাল রাখতে বাড়ির আস্ত মিউজিয়ামে সময় কাটে এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের। তার নিখুঁত এই শিল্পকর্মকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।