TRENDING:

গাছের মূল কেটে কখনও সজারু, কখনও আবার অন্যকিছু! মেদিনীপুরের বৃদ্ধের তাক লাগানো শিল্পকর্ম, দেখতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা

Last Updated:

বিভিন্ন পশু পাখির আদল, কোনওটি মানুষের মুখ, কোনওটি আবার মাছ কিংবা শুয়ে থাকা একটি মানুষের রূপ। গাছের মূল দেখলে অবাক হবেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: এক একটি বাঁশ কিংবা বিভিন্ন গাছের মূল দেখতে এক এক রকমের। কিন্তু সেই মূলকে সামান্য কিছু কেটে বা সামান্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলেই ফুটে ওঠে এক অনন্য ছবি। কখনও সজারু, কখনও আবার মূলের আঁকাবাঁকা রূপ নতুন এক আকৃতি প্রকাশ করে। অথবা বিভিন্ন গাছের মূলকে পরিষ্কার করে সামান্য কাটলেই দেখা যায় জিমনাস্টিক এর ধরণ, গিরগিটি, বিড়াল, পাখি বিভিন্ন রূপ। তবে দীর্ঘ বেশ কয়েকটা দশক গাছের মূল নিয়ে নানা ধরনের শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেছেন এক ব্যক্তি। এত সুন্দর শিল্পকর্ম এবং নিখুঁত চিন্তাভাবনা ভাবিয়েছে সকলকে।
advertisement

কাঠ কেটে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য তৈরি করা হয়, এটা এক স্বাভাবিক শিল্পরীতি। তবে বাঁশের মূল কিংবা গাছের মূলের এত সুন্দর রূপ আপনি কি আগে দেখেছেন? মাটির নিচে থাকা মূল এক একটি আকৃতির। কখনও সেই আকৃতি প্রকাশ করে এক একটি ছবি। কখনও আবার সামান্য যোগ বিয়োগ করলেই নতুন এক ভাস্কর্য প্রকাশ পায়। আর সেই মূল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের ভাস্কর্য তৈরি করছেন এক বৃদ্ধ। অবসরপ্রাপ্ত এই শিক্ষকের ভাবনা, গাছের মূল নিয়ে তার এই সৃজনশীল উদ্যোগ অবাক করেছে সকলকে। শুধু তাই নয়, বাড়িতেই ছোট্ট একটি মিউজিয়াম করে রেখেছেন এই সকল সৃজনশীল কাজ।

advertisement

আরও পড়ুন: মণ্ডপে মণ্ডপে উচ্ছ্বাস, থিমে থিমে চমক! ছবিতে দেখুন শিলিগুড়ির সেরা সব দুর্গাপুজো

View More

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার জাহালদার বাসিন্দা কালাইলাল মহাপাত্র। বাড়ি ব্রাহ্মণখলিসাতে হলেও কর্মসূত্রে তিনি চলে আসেন জাহালদাতে। তবে শিক্ষকতা জীবনেও বিভিন্ন সৃজনশীল কাজ করেছেন তিনি। বেশ কয়েক বছর ধরেই কখনও কবিতার লাইনের সঙ্গে মিলিয়ে বাঁশ কিংবা বিভিন্ন গাছের মূলকে তৈরি করেছেন একাধিক আকৃতিতে। ছোট মূল থেকে বড় বড় মূল তিনি সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। কখনও মেলে কটুক্তি, সেসবকে তোয়াক্কা না করেই তিনি মূল দিয়ে নানা সৃজনশীল প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন। বিভিন্ন পশু পাখির আদল, কোনওটি মানুষের মুখ, কোনওটি আবার মাছ কিংবা শুয়ে থাকা একটি মানুষের রূপ।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

তবে দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরেই তার এই উদ্যোগ এবং এত নিখুঁত শিল্পকর্ম অবাক করেছে সকলকে। প্রতিদিন তার বাড়িতে আসেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী থেকে গবেষকেরা। পরখ করে দেখেন তার হাতের এই শিল্পকর্ম। বয়স বাড়লেও শিল্পকর্মের সঙ্গে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মন ভাল রাখতে বাড়ির আস্ত মিউজিয়ামে সময় কাটে এই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের। তার নিখুঁত এই শিল্পকর্মকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গাছের মূল কেটে কখনও সজারু, কখনও আবার অন্যকিছু! মেদিনীপুরের বৃদ্ধের তাক লাগানো শিল্পকর্ম, দেখতে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল