একদিকে রাস্তাঘাট ডুবে থাকার কারণে ঘাটালের গ্রামীণ এলাকা ও পৌর এলাকায় পৌঁছচ্ছে না কোনও গাড়ি। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আর তারই মাঝে আজ হঠাৎই ঘটল অঘটন। কথায় আছে না অসুস্থতা বলে কয়ে আসে না। ঠিক তাই, ঘাটালের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেবা রানী ঘোষ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনিতেই বয়স্ক। আর শিশু আর বয়স্কদেরই এই বন্যা পরিস্থিতিতে বেশি সঙ্কটে পড়তে হয়।
advertisement
চিন্তিত হয়ে পড়েন পরিবার কী ভাবে তাঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাবেন এই ভেবে! তবে প্রথম থেকেই প্রশাসন এই বিষয়ে ভীষণ তৎপর খাবার থেকে জল কিংবা চিকিৎসা পরিষেবা সব বিষয়েই ঘাটাল প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ছুটে যাচ্ছে সমস্যা মেটাতে, এবারেও অন্যথা হল না।
এক্ষেত্রেও তাই,খবর যায় ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাসের কাছে মহাকুমা শাসক খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্পিড বোটে করে পৌঁছে রেবা রানি ঘোষকে উদ্ধার করে ঘাটালে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। মহকুমা শাসকের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষজন। বন্যায় যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানুষ,তাতে থেমে গিয়েছে তাঁদের জীবন জীবিকা।
ঠিক তেমনই এই পরিস্থিতিতে ত্রাতার ভূমিকা পালন করতে পিছপা হয়নি প্রশাসন। আজ তাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে মহাকুমা শাসক প্রমাণ করে দিলেন এটা তাঁর কর্তব্য ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব। তবে বিপদের দিনে যখন অনেকেই নিজেদের দায়বদ্ধতা ভুলে যায় সেখানে সুমন বিশ্বাসের কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন।
মিজানুর রহমান





