গত বছরের পাশাপাশি এ বছরও এ শিক্ষকদের উদ্যোগে আয়োজন হতে চলেছে নাট্য উৎসব যেখানে, রাজ্যের বিভিন্ন কলাকুশলীরা অভিনয় করলেও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের। শিক্ষকতার অবসরে শিক্ষকদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। কেউ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ-শিক্ষক, কেউ আবার প্রধান শিক্ষক। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পাঠদান তাদের পেশা। এরপর তারা এসে শুরু করেন নাটকের চর্চা। গড়ে তুলেছেন সুকৃৎ নাট্যধারা নামে নাট্যদল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় চলে তাদের অনুশীলন। নিজেরাই লেখে নাটক, প্রমটে তাল মিলিয়ে প্রতিদিন চলে তাদের প্র্যাকটিস।
advertisement
আরও পড়ুন: শীত জমে ক্ষীর বারুইপুরে, ২০ রকমের পিঠেপুলি নিয়ে শুরু পিঠেপুলি উৎসব! চেখে দেখার সুযোগ মাত্র কয়েকদিন
বিদ্যালয় থেকে ফিরে এসে তারা অনুশীলন করে। মূলত হারিয়ে যেতে বসা এই শিল্পচর্চা এবং শিল্পের ধারাকে বহমান রাখতে শিক্ষকদের এই উদ্যোগ। প্রাথমিকভাবে নিজেরাই মিউজিক এরেঞ্জার, নিজেরাই লাইট ম্যান। সভ্যতার উন্নতিতে মোবাইল ও ওটিটির যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন এই শিল্পধারা নাটক। নাটক করা তো দূর নাটক দেখাও যেন এখন সময়ের সংকুলান। মোবাইল রিলসের দুনিয়ায় হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন এই শিল্পধারা। আর সেই শিল্পধারাকে নতুন করে প্রাণ দিচ্ছেন এই শিক্ষকেরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁদের সঙ্গে সহযোগিতা করেন প্রাক্তন শিক্ষকও। একত্রিত হয়ে একে অপরকে শিখিয়ে দেন নাটকের অভিনয়। আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেলদা শহরেই আয়োজিত হতে চলেছে নাটক। যার উদ্যোক্তা এই শিক্ষকেরাই। এই শিক্ষকদের সঙ্গে রয়েছেন তাদের বেশ কিছু বন্ধুও। তবে সংস্কৃতি ও শিল্পধারাকে বাঁচাতে শিক্ষকদের এই ভাবনা এবং উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।





