সেই সঙ্গেই একটি প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। কী এই পদ্ধতি? যারা গাছ ভালবাসেন বা বাগান পরিচর্যার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা হয়তো আগেই নামটা শুনেছেন। এই বিশেষ বাগানকলাকে বলা হয় ‘কোকেডামা’। জাপানের প্রাচীন এবং অত্যন্ত নান্দনিক বাগানশৈলী।
advertisement
কোকেডামায় টবের ভিতর গাছ থাকে না। বরং মাটি, কম্পোস্ট ও খৈলের মিশ্রণে তৈরি একটি গোল বলের মধ্যে থাকে। বলটির চারপাশ মস, কোকো ফাইবার বা শক্ত সুতোয় মোড়া থাকে। এরপর সেই বলটিকে দড়ি, হুক বা স্ট্যান্ডে ঝুলিয়ে রাখা হয়। দেখে মনে হয় যেন এক ছোট সবুজ ‘পৃথিবী’র উপর দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট একটি গাছ।
নীচে কখনও কখনও শিকড় ঝুলে থাকতে দেখা যায় যা এটিকে আরও প্রাকৃতিক করে তোলে। অর্কিড, ফার্ন, মানিপ্ল্যান্ট সহ নানা রকম সাকুলেন্ট সহ বহু বিদেশি ও দেশি গাছই কোকেডামায় সহজে বেড়ে ওঠে। চন্দ্রকোনার নার্সারিতে এই কোকেডামাগুলিই এখন সবার নজর কাড়ছে। কারণ খুব অল্প জায়গায়, ঘরের ভেতর, বারান্দায় কিংবা স্টুডিও কোণের ডেকোরেশনে কোকেডামা অনায়াসেই জায়গা করে নেয়। টবের প্রয়োজন পড়ে না, জলও কম লাগে। ফলে রক্ষণাবেক্ষণ সহজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে, উদ্যানপ্রেমী থেকে সাধারণ ক্রেতা, সবাই এখন এই জাপানি স্টাইলের ঝুলন্ত বাগান চাইছেন। চন্দ্রকোনার নার্সারির মালিকের দাবি, ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে কোকেডামা আরও জনপ্রিয় একটি চারা প্রস্তুতির পদ্ধতি হিসেবে উঠে আসবে। একদিকে শিল্পশৈলী, অন্যদিকে আধুনিক ঘর সাজানোর উপায়, কোকেডামায় এই দু’য়ের মেলবন্ধনই আজ চন্দ্রকোনার নতুন আকর্ষণ।





