সুচ-সুতো কিংবা উল দিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলতে পারেন নানা ডিজাইন। ইদানিং হারিয়ে যাচ্ছে নকশিকাঁথা কিংবা কাঁথাস্টিচ। কিন্তু বৃদ্ধার হাতে আজও সমান সবলীল সুচ-সুতো। কাঁথা, কাপড় কিংবা জামার উপর ফুটিয়ে তুলেছেন নানা শিল্প।
বয়স তখন সবে ১০। বাড়ির বড়দের থেকে শিখেছেন সুচ-সুতো, উলের কাজ। এর পর নিজের জেদ এবং বইয়ের সাহায্যে তিনি শিখেছেন সেলাইয়ের নানা কৌশল। তিনি আরতি পৈড়্যা। দাঁতন দুই নম্বর ব্লকের জেনকাপুরের বাসিন্দা। আজও, এই বয়সেও অনায়াসে বানিয়ে চলেছেন উলের মোজা, সোয়েটার, বেডশিট।
advertisement
আরতী দেবীর দুই ছেলে এবং তিন মেয়ে। ছেলেরা বর্তমানে কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন, মেয়েদের বিয়ে হয়েছে। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। আরতী দেবী দু’বার পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পুঁথিগত বিদ্যা তেমন নেই, কিন্তু বই পড়ার প্রতি অসামান্য ঝোঁক। বাড়িতে বইয়ের রাশি। সারাটা দিন কাটে সেলাই করে আর বই পড়ে।
রঞ্জন চন্দ