সোমবার বিয়ের সানাই বাজত নাবালিকার। সমস্ত আয়োজনও শেষ। হয়ে গিয়েছে বাজার-হাট। আত্মীয় পরিজনরাও বাড়িতে আসতে শুরু করেছিল। তার আগেই নাবালিকার বিয়ে আটকাল পুলিশ- প্রশাসন।
পুলিশ ও ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, সোমবার ১৭ বছর বয়সি দশম শ্রেণীতে পাঠরতা এক নাবালিকার বিয়ের খবর পেয়ে তারা তার বাড়িতে যান। সেখানে দেখেন, বিয়ের আয়োজন চলছে। ঝাড়গ্রামের বেলিয়াবেড়া থানা এলাকার এক কুড়ি বছর বয়সি যুবকের সঙ্গে বিয়ে পাকা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সেই বিয়ে আটকে দেয়। নাবালিকার পরিবারের কাছ থেকে মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুরশেদ আলি কাদরি বলেন, “বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতার প্রচার করা হচ্ছে। মানুষের সচেতনতার অভাবে নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছে, যা আইনবিরুদ্ধ।”
advertisement
পুলিশ প্রশাসন জানাচ্ছে, যার সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তারও বিয়ের বয়স হয়নি। মেয়েটি রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পায়। তার পরেও এমন ঘটনা। সচেতন করা হয়েছে। নাবালিকার পরিবার এদিন অঙ্গীকার করে যে মেয়ের ১৮বছরের নীচে বিয়ে দেবেন না। তবে তাদের দাবি, ছেলেটির সঙ্গে মেয়ের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। মেয়ের চাপে পড়েই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল তাদের। পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাবালিকা ও যুবকের পরিবারকে বিষয়টি নিয়ে সচেতন করা হয়েছে।
জেলাশাসক বলেন, “রাজ্য সরকারের একাধিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এলাকায় আরও সচেতনতা বাড়ানো হবে।”
রঞ্জন চন্দ