তবে যাই হোক না কেন, বই ছিল যেন তার অন্তরের আত্মা। সংস্কৃত এবং বাংলা বিষয়ে দক্ষতা থাকার পরেও তিনি ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান-সহ বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে ভালবাসেন। শুধু ছাত্র জীবন নয়, কর্মজীবনে এসেও তিনি লিখেছেন নানা লেখা। কর্মজীবন শেষ করে অবসরেও এইভাবেই সময় কাটছে তাঁর।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রকোনায় সাপুড়েদের কেরামতি! খেলা দেখাতে গিয়ে চোখের পলকে ছোবল, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন ব্যক্তি
advertisement
বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকায় থাকেন তিনি। চাকরিও করেছেন সীমান্তবর্তী এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের দাঁতন হাইস্কুলে। রাজনৈতিক জীবনে দক্ষতার সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন দাঁতন এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির। দাঁতন থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে। ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই দক্ষতা ছিল বাংলা এবং ওড়িয়া ভাষার প্রতি।
আরও পড়ুনঃ এই একটি মাসেই হয় ‘মিরাকেল’! দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভক্তরা, কী আছে এই মন্দিরে?
বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষায় লিখেছেন কবিতা এমনকি প্রবন্ধও। ইতিমধ্যে তাঁর কবিতা এবং প্রবন্ধ গল্প সংকলনের একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি এক চিকিৎসকের লেখা চারটি ওড়িয়া ভাষার বই বাংলায় অনুবাদও করেছেন। যা চিকিৎসা বিষয়ক এবং মানুষের কাছে হৃদয়গ্রাহী।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা মন্মথনাথ গড়াই। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দাঁতন হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এবং ১৯৮৮ থেকে ২০০৮ প্রায় কুড়ি বছর তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। বিদ্যালয় জীবনে এমনকি কলেজ জীবনেও তিনি বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখেছেন। তাঁর লেখা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ক বই, কবি জীবনানন্দ দাশের সম্পর্কে লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও কবিতা এবং প্রবন্ধের আরও দুটি বই তিনি প্রকাশ করেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পার্শ্ববর্তী জেলা ওড়িশার বালেশ্বর জেলার প্রখ্যাত চিকিৎসক চৌধুরী সত্যব্রত নন্দের চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর লেখা বিভিন্ন বাস্তব গল্প সমূহের চারটি বই তিনি ওড়িয়া ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। প্রায় ১৬ বছর হল তিনি কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে বাড়ির আলমারি জুড়ে শুধু বই। সারাদিনের বেশির ভাগ সময় কাটান বইয়ের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী কলেজ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর কাছে আসেন বিভিন্ন বিষয়ের সম্মুখ ধারণা নিতে। শুধু বই পড়া নয় এখনও নিয়ম করে লিখে চলেন নানা প্রবন্ধ, কবিতাও। স্বাভাবিকভাবে বই পড়ে, বই লিখে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন এই প্রধান শিক্ষক।