সোমবার রাতে ফের দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ফিরিয়ে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হঠাৎ এই মৃত্যুর খবরে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও গোটা গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোক।
আরও পড়ুনঃ ব্রিজের ‘স্বাস্থ্যের’ অবনতি, দুর্ঘটনার আশঙ্কা! পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে ভুলেও আসবেন না
advertisement
ঘটনাস্থল সূত্রে জানা যায়, ১৬ অগাস্ট রাতে একটি গাড়ি পাঁশকুড়ার দিক থেকে দাসপুরের দিকে আসছিল। হঠাৎ করে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে থাকা একটি চায়ের দোকানে সজোরে ধাক্কা মারে। বিকট শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে। আশেপাশের মানুষ ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করতে চেষ্টা করেন। খবর দেওয়া হয় দাসপুর থানায়। দাসপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়ির ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুনঃ রাজনীতি থেকে শিক্ষকতা! অবসরেও থেমে নেই, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের ‘গুন’ মুগ্ধ করবে আপনাকে
আহতদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর ছিলেন আরেফুল ইসলাম মল্লিক। চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে রাতে তাঁকে কলকাতায় রেফার করা হয়। পরিবার তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল, কিন্তু পথেই অবস্থার আরও অবনতি হয়। অবশেষে তড়িঘড়ি করে ফিরিয়ে আনা হয় দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার তদন্ত চলছে এবং গাড়িটি ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন অবিলম্বে এই রাজ্য সড়কে নজরদারি বাড়াক এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা শক্ত করা হোক। তা না হলে আরও বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তাঁরা।