রাজনীতি থেকে শিক্ষকতা! অবসরেও থেমে নেই, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের 'গুন' মুগ্ধ করবে আপনাকে

Last Updated:

রাজনৈতিক জীবন এবং শিক্ষকতা জীবনে বই সঙ্গী। অবসরে যেভাবে সময় কাটে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের, জানলে অবাক হবেন।

+
বই

বই হাতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মন্মথনাথ গড়াই

দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: এক সময় ছিলেন রাজনীতিবিদ। দায়িত্ব সামলেছেন পঞ্চায়েত সমিতির। তিন দশক ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার কাজ করেছেন। টানা কুড়ি বছর দায়িত্ব সামলেছেন প্রধান শিক্ষকের। রাজনীতিবিদ এবং শিক্ষকতাকে পাশে রেখে তিনি আপাদমস্তক ছিলেন বইপ্রেমী। সাহিত্যচর্চার হাতে খড়ি হয়েছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা কবিতা থেকেই অনুপ্রাণিত তিনি। এরপর বিদ্যালয় জীবন, কলেজ জীবনে একাধিক লেখালেখিও করেছেন। শুধু তাই নয়, শিক্ষকতা জীবনে তিনি যুক্ত ছিলেন নানান সামাজিক ও শিক্ষামূলক কাজে।
তবে যাই হোক না কেন, বই ছিল যেন তার অন্তরের আত্মা। সংস্কৃত এবং বাংলা বিষয়ে দক্ষতা থাকার পরেও তিনি ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান-সহ বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে ভালবাসেন। শুধু ছাত্র জীবন নয়, কর্মজীবনে এসেও তিনি লিখেছেন নানা লেখা। কর্মজীবন শেষ করে অবসরেও এইভাবেই সময় কাটছে তাঁর।
আরও পড়ুনঃ চন্দ্রকোনায় সাপুড়েদের কেরামতি! খেলা দেখাতে গিয়ে চোখের পলকে ছোবল, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন ব্যক্তি
বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকায় থাকেন তিনি। চাকরিও করেছেন সীমান্তবর্তী এলাকা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতনের দাঁতন হাইস্কুলে। রাজনৈতিক জীবনে দক্ষতার সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন দাঁতন এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির। দাঁতন থেকেই নির্বাচিত হয়েছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে। ওড়িশা সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি হওয়ার কারণে প্রথম থেকেই দক্ষতা ছিল বাংলা এবং ওড়িয়া ভাষার প্রতি।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ এই একটি মাসেই হয় ‘মিরাকেল’! দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন ভক্তরা, কী আছে এই মন্দিরে?
বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষায় লিখেছেন কবিতা এমনকি প্রবন্ধও। ইতিমধ্যে তাঁর কবিতা এবং প্রবন্ধ গল্প সংকলনের একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি এক চিকিৎসকের লেখা চারটি ওড়িয়া ভাষার বই বাংলায় অনুবাদও করেছেন। যা চিকিৎসা বিষয়ক এবং মানুষের কাছে হৃদয়গ্রাহী।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা মন্মথনাথ গড়াই। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত দাঁতন হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এবং ১৯৮৮ থেকে ২০০৮ প্রায় কুড়ি বছর তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। বিদ্যালয় জীবনে এমনকি কলেজ জীবনেও তিনি বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখেছেন। তাঁর লেখা সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা বিষয়ক বই, কবি জীবনানন্দ দাশের সম্পর্কে লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও কবিতা এবং প্রবন্ধের আরও দুটি বই তিনি প্রকাশ করেছেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পার্শ্ববর্তী জেলা ওড়িশার বালেশ্বর জেলার প্রখ্যাত চিকিৎসক চৌধুরী সত্যব্রত নন্দের চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর লেখা বিভিন্ন বাস্তব গল্প সমূহের চারটি বই তিনি ওড়িয়া ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেন। প্রায় ১৬ বছর হল তিনি কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে বাড়ির আলমারি জুড়ে শুধু বই। সারাদিনের বেশির ভাগ সময় কাটান বইয়ের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী কলেজ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা তাঁর কাছে আসেন বিভিন্ন বিষয়ের সম্মুখ ধারণা নিতে। শুধু বই পড়া নয় এখনও নিয়ম করে লিখে চলেন নানা প্রবন্ধ, কবিতাও। স্বাভাবিকভাবে বই পড়ে, বই লিখে অবসর জীবন কাটাচ্ছেন এই প্রধান শিক্ষক।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
রাজনীতি থেকে শিক্ষকতা! অবসরেও থেমে নেই, প্রাক্তন প্রধান শিক্ষকের 'গুন' মুগ্ধ করবে আপনাকে
Next Article
advertisement
OPPO India নিয়ে এল F31 5G Series, যেমন টেকসই, তেমনই মসৃণ, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ! ফিচার দেখে নিন বিশদে
OPPO India নিয়ে এল F31 5G Series, যেমন টেকসই, তেমনই মসৃণ, শক্তিশালী পারফরম্যান্স !
  • OPPO India নিয়ে এল F31 5G Series

  • যেমন টেকসই, তেমনই মসৃণ

  • ফোনের ফিচার দেখে নিন বিশদে

VIEW MORE
advertisement
advertisement