যাতায়াতের একমাত্র তখন ভরসা হয়ে ওঠে ডিঙি ও নৌকা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বতোভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয় বন্যা দুর্গতদের। রান্না করা খাবার থেকে শুরু করে শুকনো খাবার ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। সালটা ছিল ২০১৭, তারিখটা ২৬ জুলাই, সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার কাছাকাছি হবে ভেঙে যায় প্রতাপপুরের শিলাবতী নদীর বাঁধ, ১৫ মিটারের মত ভেঙে যায় বাঁধটি, পরে অবশ্য বড় আকার ধারণ করে এটি।
advertisement
হু হু করে জল প্রবেশ করতে থাকে একাধিক গ্রামে, এর ফলে প্রায় কয়েক লক্ষ মানুষ নতুন করে বন্যার মুখে পড়েন। বাড়িতেই আটকে পড়েন অনেকে। ১৯৭৮ সালের পর ২০০৭ তারপর ২০১৭ ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হন ঘাটালের মানুষজন। ২০১৭ সালে বন্যায় সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধারের কাজ, উদ্ধারে নামাতে হয় সেনা হেলিকপ্টারকে। বাড়ির ছাদ থেকে আবার কোথাও জলবন্দী মানুষজনকে উদ্ধারে নামে সেনা, একের পর এক মানুষজনকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সেদিন হেলিকপ্টারে করে বাড়ির ছাদে থাকে ৩৩ জনকে উদ্ধার করতে হয়েছিল। তৎকালীন সময় সেচ মন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও বন্যা হলেই আতঙ্কে দিন কাটে ঘাটালের মানুষের, জল যন্ত্রণায় কার্যত নাভিশ্বাস হয়ে ওঠে মানুষজনের।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককের বাজারে বন্দুুকবাজের এলোপাথাড়ি গুলি, মৃত ৬! থাইল্যান্ড-কম্বো়ডিয়া সংঘাতের জের?
প্রসঙ্গত বন্যা এলেই ঘাটালবাসীর মনে প্রশ্ন জাগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা। কবে রূপায়িত হবে এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান? দিনের পর দিন কেটে গেলেও জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস থেকে যায়। কেন্দ্র-রাজ্য টালবাহানায় মাস্টার প্ল্যান অথৈ জলে চলে যায়। পরে অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই করা হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ। চলতি মাসেই তিন বার জলমগ্ন হল ঘাটাল, আবার নিম্নচাপের জের ভারী বৃষ্টি, আতঙ্কে মানুষজন।
মিজানুর রহমান