Fish: ফ্রিজে মাছ কীভাবে রাখছেন? নুন, হলুদ মাখিয়ে নাকি কাঁচা? ভুলভাবে স্টোর করলেই শরীরের সর্বনাশ! সঠিক উপায় জানলে ফ্রিজে থাকবে না কোনও আঁশটে গন্ধ

গোটা একটা দিনের খাওয়া দাওয়া তাও একেবারে মাছ ছাড়া! মত্‍স প্রিয় বাঙালি ভাবতেই পারে না মাছহীন লাঞ্চ বা ডিনারের কথা। আর রোজের পাতে মাছ রাখার জন‍্য প্রতিদিন বাজারে যাওয়ার ঝক্কি কমিয়ে দিয়েছে ফ্রিজ।

ফ্রিজের দৌলতে একবার মাছ কিনে এনে বেশ কয়েকদিন দিব‍্যি রেখে দেওয়া যায়। ঠান্ডা বরফে মাছ থাকে টাটকাও। ফলে ফ্রিজে রাখা বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বাড়ির একটি চেনা ছবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু চেনা এই অভ‍্যাস কোনও রোগ ডেকে আনছে না তো? পাশাপাশি ফ্রিজে মাছ রাখা থাকলে ফ্রিজে একটি আঁশটে গন্ধও হয়ে যায়।

ফ্রিজের ঠান্ডায় আদৌ ভাল থাকে মাছ? বিশেষজ্ঞরাও অবশ‍্য সতর্ক করলেন এই বিষয়ে। সেইসঙ্গে ফ্রিজের আঁশটে গন্ধ কীভাবে কাটানো যায় তারও উপায় রইল এই প্রতিবেদনে।

ফ্রিজে মাছের আঁশটে গন্ধ ছড়িয়ে পড়া খুবই চেনা একটি সমস‍্যা। তবে কয়েকটি ফ্রিজে মাছ স্টোর করার সময় কয়েকটি ছোট্ট টিপস মানলেই এই সমস‍্যা থেকে মিলবে মুক্তি।

মাছের স্থায়ীত্বকাল (যতদিন কাটা অবস্থায় ভাল থাকবে মাছ, সেই সময়কাল) নির্ভর করে অনেকগুলি বিষয়ের উপর। স্টোরেজ টেম্পারেচার, টেম্পারেচারে ওঠানামা, প্যাক করার পদ্ধতি, প্যাকেজিং উপাদান, আর্দ্রতা, মাছের ফ্যাট কন্টেন্ট এবং ফ্রিজিংয়ের সময় মাছের অবস্থা। তবে মাছ স্টোর করার বা ফ্রিজিংয়ের পর ৩ - ৮ মাসের মধ্যে এটি খেয়ে ফেলা উচিত।

তাজা মাছের শুরুতে কম গন্ধ থাকে। তাই টাটকা মাছকে একটি মুখবন্ধ বাক্সে ভরে ফ্রিজে রাখুন। প্লাস্টিক কন্টেনারে রাখতে পারেন। এতে আটকাবে মাছের গন্ধ ছড়িয়ে পড়া। মাছ কেনার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফ্রিজারে ১০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় রাখুন।

ফ্রিজার বারবার খুলবেন না, এতে মাছের শেলফ লাইফে প্রভাব পড়ে। সেইসঙ্গে কেনার সময়ও সতর্ক থাকা উচিত। যেসমস্ত মাছ তাড়াতাড়ি পচনশীল হয়, সেগুলি দোকানদারকেই বরফ দিয়ে প‍্যাক করি দিতে বলা উচিত।

চিকিত্‍সা সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইটে ড: শ্রুতি এন জানিয়েছেন মাছকে ফ্রিজে স্টোর করার সঠিক নিয়ম। ফ্রিজে মাছ রাখার আগে ভাল করে শক্ত মুখের কোনও বাক্সে রাখা উচিত। কাঁচা এবং রান্না করা, দুই ধরণের মাছ আলাদাভাবে রাখা উচিত। ফ্রিজে যে পাত্রে মাছ রাখা হবে, তা ভাল করে ধুয়ে নিন।