পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর নাড়াজোলের বিমান আদক তেমনই এক মাইক্রো আর্টিস্ট। প্রায় ১৪-১৫ ঘন্টা ধরে ধৈর্য্য সহকারে নজরকাড়া শিল্প সৃষ্টি করে দাগ কেটে চলেছেন তিনি নিয়মিত। মাইক্রো আর্টিস্টরা কাগজ, কাঠ, এমনকি ধানের দানা সহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে কাজ করতে পারেন এবং তাদের কাজের জন্য প্রায়শই উচ্চ স্তরের নির্ভুলতা এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। মাইক্রো আর্টের আবেদন নিহিত রয়েছে এর স্বতন্ত্রতা এবং এই ধরনের ক্ষুদ্র মাস্টারপিস তৈরিতে জড়িত দক্ষতার মধ্যে, যা প্রায়শই ছোট আকারের সত্ত্বেও তাদের জটিলতা এবং বিশদ বিবরণ দিয়ে দর্শকদের অবাক করে দিতে পারে। কখনও চক, পেন্সিলের শিস কিংবা তার গায়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘হাত দিলেই হাতকড়া’! হচ্ছেটা কী দিঘায়! জানুন পুরো ঘটনা, জানলে স্যালুট জানাবেন বন দফতরকে
আবার দেশলাই কাঠি থেকে শুরু করে সিগারেটের ছাঁই, ভুট্টার দানা এমনকি লঙ্কার বীজ। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম সবকিছুর ওপরই বিমান বাবু ফুটিয়ে তোলেন তাঁর অনন্য শিল্প কর্ম। যে সমস্ত জিনিসের কথা আমাদের কল্পনার বাইরে ফেলে দিই কাজে লাগবে না ভেবে সেইসব জিনিসের ওপর ধৈর্য্য সহকারে হাতের নিপুনতায় ফুটে ওঠে নানা দৃশ্যপট। যা কল্পনার অতীত। কখনও কখনও এত ছোট হয় সেগুলো আতস কাঁচ কিংবা মাইক্রোস্কোপও ব্যবহার করতে হয় শিল্পরস আস্বাদন করতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২০১৯ এ তাঁর অনন্য সৃষ্টি সিগারেটের ছাই এর ওপর মানুষের মুখমন্ডলের কঙ্কাল এঁকে বার্তা দিয়েছেন সিগারেট কতটা ভয়ঙ্কর। ভাবা যায়! যে ছাই একটু হাত দিলেই ভেঙে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে সেই ছাইয়ের ওপর মাইক্রোআর্ট। এখানেই শেষ না একটি দেশলাই কাঠিতে ৪৭ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী আবার কখনও শিশুশ্রম বিরোধী বার্তা দেশলাই কাঠির ওপর এমন অনন্য সব সৃষ্টি বিমান বাবুকে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিমান বাবু পেশায় শিক্ষক নেশায় মাইক্রো আর্টিষ্ট। ছোটোবেলা থেকেই আঁকার প্রতি অমোঘ টান আজকে তাকে এই জায়গা দিয়েছে। যে স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেছেন আজ সেই স্কুলেই পড়ান তিনি।
ঘাটাল কলেজ থেকে বি এ পাঁশকুড়া কলেজ থেকে বি এড। আর্থিক অস্বচ্ছলতাও তার প্রতিভাকে আটকাতে পারেনি। এখন তিনি স্বপ্রচেষ্টায় তৈরি করেছন আঁকার স্কুল, আর্ট গ্যালারি এবং সাধের বাগান। তাঁর কথায়, ‘এক মায়াভরা পৃথিবীর মাঝেই মিশে যাব একদিন’। বতর্মানে আঁকার স্কুলে জমছে সব বয়সীদের ভিড়। ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছি।