জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও নিজের বাড়ির ছাদে ব্যায়াম করছিলেন শ্যামলবাবু। তিনি সুস্থ জীবনযাপনের অভ্যাসে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতেন। কিন্তু সেই অভ্যাসই এদিন তাঁর জীবনের অন্ত ঘটায়। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ব্যায়াম করার সময় সম্ভবত তিনি কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ পা পিছলে ছাদ থেকে নীচে পড়ে যান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এত প্রচারের পরেও এত বড় ভুল! সাপের ছোবলে প্রাণ গেল যুবকের, ঠিক কী ঘটেছিল মেদিনীপুরে
আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয়রা একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য উড়িষ্যার কটকে নিয়ে যাওয়া হবে বলে স্থির হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কটকে নিয়ে যাওয়ার পথেই শ্যামল দাস কর্মকারের মৃত্যু হয়।
এই আকস্মিক মৃত্যুতে আজুড়িয়া গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, শ্যামলবাবু অত্যন্ত সদালাপী ও পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন। সমাজসেবামূলক কাজেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা গ্রাম। পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন, “এমন দুর্ঘটনা হবে আমরা কোনও দিন ভাবিনি। সকালের ব্যায়াম যে এমনভাবে মৃত্যুর কারণ হবে, তা কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না।” শ্যামল দাস কর্মকারের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুবান্ধবদের ভিড়ে ভরে যায় তাঁর বাড়ি। সবার চোখে অশ্রু, মুখে একটাই কথা- “ভাল মানুষটা এত তাড়াতাড়ি চলে গেলেন!”






