করোনা পরিস্থিতির ঠিক আগে, সবে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার যুবক মুকেশ সাউ। হঠাৎই শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় বাবার। বাড়িতে ছিল তিন জনের সংসার, বাবা-মা এবং মুকেশ। অল্প বয়সেই বাবার মৃত্যুর পর সংসারের সমস্ত দায়িত্ব মায়ের অসুস্থতার সামগ্রিক খরচ এসে পড়ে তার উপর। বাধ্য হয়েই বাবার পেশাকে ধরতে হয় তাকে। বিকেল হলেই খারাপ লাগা, সমাজের নানা অবজ্ঞাকে পিছনে ফেলেই ফুচকা ঠেলা নিয়ে যেতে হত ব্যবসায়। তবে ধীরে ধীরে মানিয়ে নেন এই পেশায়। বর্তমানে আয়-রোজগারের উৎস এই ফুচকার দোকান। সন্ধ্যা হলেই বেলদা বটতলা এলাকায় দোকান দেন মুকেশ।
advertisement
সম্প্রতি মুকেশ দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছে। বেশ কিছু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাও দিচ্ছে সে। প্রতিদিন সকাল থেকে নিজের পড়াশোনা, বাড়ির অন্যান্য কাজ কিংবা কলেজ সামলে সন্ধ্যা হলেই দোকান দেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই রোজগারের অন্যতম পথ এই ফুচকার দোকান। ফুচকা তৈরি বা সামগ্রিক কাজে তাকে সহযোগিতা করে তার মা। তবে প্রতিদিন সে লড়াই করে নিজের সঙ্গে। রাত পর্যন্ত দোকান দেয়, সকাল হলেই নিজের পড়াশোনা কিংবা কলেজে যায় সে। মাঝে থাকে সংসারে নানা কাজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জীবন যুদ্ধে হাল ছাড়েনি সে। লড়াই করেছে বাস্তবতার সঙ্গে। বাবার মৃত্যুর পর লড়েছে নিজের সঙ্গেও। বর্তমান যুব প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম মুকেশ। বাধা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচা যায় তা প্রমাণ করেছেন এই যুবক। তার এই সফলতা এবং সংসার চালাতে শিক্ষিত যুবকের এমন ভাবনা চিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।





