TRENDING:

Inspiring Stories: সকালে পড়াশুনা, সন্ধে হলেই ফুচকার ঠেলা নিয়ে ব্যবসা! মেদিনীপুরের মুকেশের সংগ্রাম শুধু অনুপ্রেরণা নয়, চোখে আনে জলও

Last Updated:

West Medinipur Inspiring Stories: জীবন যুদ্ধে হাল ছাড়েনি সে। লড়াই করেছে বাস্তবতার সঙ্গে। বাবার মৃত্যুর পর লড়েছে নিজের সঙ্গেও। বর্তমান যুব প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম মুকেশ। বাধা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচা যায় তা প্রমাণ করেছেন এই যুবক।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বেলদা, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দ: সবে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। করোনার ঠিক আগে আগেই মারা যান তার বাবা। বাবার ছোট্ট একটি ফুচকা দোকান ছিল, সন্ধ্যা হলেই ফুটপাথে ব্যবসা লাগিয়ে যা বিক্রি হত তা দিয়ে চলত সংসার। তবে বাবার মৃত্যুর পর মায়ের দায়িত্ব এবং সংসারের খরচ এসে পড়ে তার কাঁধে। সবে স্কুল জীবন শেষ করে হঠাৎই দোলাচলে পড়ে সে। তবুও হাল না ছেড়ে সমাজের অবজ্ঞাকে পিছনে ফেলেই বাবার ব্যবসা ধরে সে। সকালে পড়াশোনা, কলেজ করে আজ প্রায় ছয় বছর ধরে ফুচকা দোকান চালিয়ে এক দিকে যেমন নিজের স্নাতকোত্তর পাশ করেছে তেমনই ধরেছে সংসারের হাল। সন্ধ্যায় ফুচকা দোকান চালিয়ে পারিবারিক সমস্ত খরচ বহন করছে এই যুবক। বাবার মৃত্যুর পর তার পরিশ্রম এবং তার অসম লড়াই চমকে দিয়েছে সকলকে।
advertisement

করোনা পরিস্থিতির ঠিক আগে, সবে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার যুবক মুকেশ সাউ। হঠাৎই শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয় বাবার। বাড়িতে ছিল তিন জনের সংসার, বাবা-মা এবং মুকেশ। অল্প বয়সেই বাবার মৃত্যুর পর সংসারের সমস্ত দায়িত্ব মায়ের অসুস্থতার সামগ্রিক খরচ এসে পড়ে তার উপর। বাধ্য হয়েই বাবার পেশাকে ধরতে হয় তাকে। বিকেল হলেই খারাপ লাগা, সমাজের নানা অবজ্ঞাকে পিছনে ফেলেই ফুচকা ঠেলা নিয়ে যেতে হত ব্যবসায়। তবে ধীরে ধীরে মানিয়ে নেন এই পেশায়। বর্তমানে আয়-রোজগারের উৎস এই ফুচকার দোকান। সন্ধ্যা হলেই বেলদা বটতলা এলাকায় দোকান দেন মুকেশ।

advertisement

আরও পড়ুন: শীতের রাতে মদের দোকানে হানা! নামিদামি ব্র্যান্ডের বোতল দেখে জিভে জল! সব লুটেপুটে দোকান ফাঁকা করল চোরেরা

View More

সম্প্রতি মুকেশ দর্শন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করেছে। বেশ কিছু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাও দিচ্ছে সে। প্রতিদিন সকাল থেকে নিজের পড়াশোনা, বাড়ির অন্যান্য কাজ কিংবা কলেজ সামলে সন্ধ্যা হলেই দোকান দেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই রোজগারের অন্যতম পথ এই ফুচকার দোকান। ফুচকা তৈরি বা সামগ্রিক কাজে তাকে সহযোগিতা করে তার মা। তবে প্রতিদিন সে লড়াই করে নিজের সঙ্গে। রাত পর্যন্ত দোকান দেয়, সকাল হলেই নিজের পড়াশোনা কিংবা কলেজে যায় সে। মাঝে থাকে সংসারে নানা কাজ।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
সঙ্গীর অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ? ডিসেম্বরেই ঢুঁ মারুন সুতানের নির্জন জঙ্গলে, রইল ঠিকানা
আরও দেখুন

জীবন যুদ্ধে হাল ছাড়েনি সে। লড়াই করেছে বাস্তবতার সঙ্গে। বাবার মৃত্যুর পর লড়েছে নিজের সঙ্গেও। বর্তমান যুব প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণার নাম মুকেশ। বাধা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচা যায় তা প্রমাণ করেছেন এই যুবক। তার এই সফলতা এবং সংসার চালাতে শিক্ষিত যুবকের এমন ভাবনা চিন্তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Inspiring Stories: সকালে পড়াশুনা, সন্ধে হলেই ফুচকার ঠেলা নিয়ে ব্যবসা! মেদিনীপুরের মুকেশের সংগ্রাম শুধু অনুপ্রেরণা নয়, চোখে আনে জলও
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল