গত বছরই ঘাটাল জেলা বইমেলায় বই বিক্রির অঙ্কটা ছিল প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এর আগেও প্রতিবছর কখনও ৩০, কখনও ২৭ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। বই বিক্রির সেই উন্মাদনা ধরে রেখেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা।
advertisement
বিপ্লবের জেলা মেদিনীপুর। এই মেদিনীপুরই পড়াশোনার ক্ষেত্রে উচ্চমানে প্রতিষ্ঠিত। আর এই জেলার সঙ্গে বইমেলার এক আত্মিক যোগাযোগ। প্রতিবছর জেলা বইমেলায় প্রায় শতাধিক বই প্রকাশক আসেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই চলে উৎসবের আমেজে বই বিক্রি। সেই সংখ্যাটা দাঁড়ায় বেশ কয়েক লক্ষ টাকায়। বছরের পর বছর ধরে জেলা বইমেলা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। গত বছর ঘাটালে আয়োজিত বইমেলা তার বহমান ধারার আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে। যেখানে বই বিক্রির পরিমাণ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। শুধুমাত্র ঘাটাল মহাবিদ্যালয় বই কিনেছিল প্রায় লক্ষাধিক টাকার।
আরও পড়ুনঃ জীবে প্রেম করে যেই জন…! ১২০টি পথকুকুরের অভিভাবক বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী, অবলাদের সেবাই যুবকের পরম ধর্ম
চলতি বছর শীত পড়তেই মেদিনীপুর শহরে আয়োজিত হয়েছে বইমেলা ও মৈত্রী উৎসবের। আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বইমেলা। যেখানে ৯০ টিরও বেশি প্রকাশক সংস্থা তাদের স্টল দিয়েছে। স্থানীয় বই প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় স্তরের বই প্রকাশকেরাও বই বিক্রির জন্য স্টল দিয়েছে এখানে। প্রতিদিন থাকছে শিক্ষামূলক নানা আলোচনা এবং কবি সম্মেলন। ছোট থেকে বড় বই কিনছেন অনেকে। তবে প্রথাকথিত মেলার থেকে অনেকটাই ভিড় কম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনেকে বলছেন, অনলাইন মাধ্যমের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কমেছে বই পড়ার প্রবণতা। যার ফলস্বরূপ বই বিক্রি কমেছে। তবে মেদিনীপুর জেলা তার ক্রেজ এখনও ধরে রেখেছে। বিভিন্ন জেলার প্যারামিটার ছাড়িয়ে মেদিনীপুর জেলার বই বিক্রির অঙ্কটা বেশ কয়েক লক্ষ টাকার। আর এতেই প্রমাণিত হয় মেদিনীপুর জেলার মানুষের বইয়ের প্রতি আবেগ ও ভালবাসা।





