জলাধারের ছাড়ার জল সঙ্গে নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টির কারণে ঘাটালের শিলাবতী, মনসুকার ঝুমি ও চন্দ্রকোনার কেঠিয়া নদীর জলস্তর বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। শিলাবতী নদীর জলস্তর নতুন করে না বাড়ায় ঘাটালে প্লাবিত এলাকায় আর জল বাড়ছে না। জল না বাড়ায় স্বস্তি ঘাটালবাসীর। ঘাটাল পৌর ও গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও প্লাবিত। জলে ডুবেছে ঘাটাল পৌরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ড আড়গোড়া চাতাল এলাকার রাজ্য সড়ক। নতুন করে জল না বাড়লেও এখনও বেশ কিছুদিন লাগবে ঘাটালে জনজীবন স্বাভাবিক হতে। ভারী বৃষ্টি না হলে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে ঘাটাল। ঘাটালের শহর অঞ্চল থেকে জল নামতে শুরু করলেও গ্রামাঞ্চলগুলিতে এখনও বন্যার জলে আটকে বহু মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: আসানসোলের শিক্ষক পেলেন বিশ্বের সেরা শিক্ষকের সম্মান! কারণ জানলে বাঙালি হিসাবে গর্বে বুক ফুলবে
তারা বারে বারে ঘাটালে বন্যা আসায় চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন। সেই সমস্ত অসহায় মানুষজনদের রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। আর তাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। বন্যা এসে বারবার ব্যাক্তিজীবনে প্রভাব ফেলছে। স্তব্ধ হয়ে উঠছে জনজীবন। ভেঙে পড়ছে রোজনামচা ও সামাজিক পরিকাঠামো। বন্যা পরিস্থিতি কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। চারিদিকে ত্রাহি ত্রাহি রব। যদিও বৃষ্টি থেমেছে। এবার আবহাওয়ার উন্নতি হলে কিছুটা সুখ ফিরবে। কিন্তু চিন্তা একটাই আবার যদি মেঘ কাল করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমনিতেই চলতি বছর যা বলছে বন্যার পর বন্যা নিচু বন্যা অধ্যুসিত অঞ্চলগুলো প্রতিবারই প্লাবিত হচ্ছে। তাই সেই সমস্ত এলাকাবাসির কপালে বিশেষ করে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। তবে যতবারই পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেছে পুলিশ প্রশাসন ত্রাতার মতো এগিয়ে এসেছে। এবারও এগিয়ে এল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ। রান্না করা খাবার তুলে দিচ্ছে বন্যা দুর্গতদের এবং ইতিমধ্যেই একাধিকবার মিটিং ও হয়েছে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় পরিস্থিতি সেই বিষয়ে।